ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ক্রমেই ঘরে ফেরা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গন্তব্যের অপেক্ষায় শত শত মানুষ। যাদের অধিকাংশই মানুষ নিম্নআয়ের ও ধানকাটা শ্রমিক।
সরজমিনে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে গন্তব্যের অপেক্ষায় রয়েছে হাজারো মানুষ। যাদের অধিকাংশ ধানকাটা শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদেরই একজন কেরামত আলী। ধানকাটা শ্রমিক হিসেবে কুড়িগ্রাম থেকে এসেছিলেন টাঙ্গাইলে। আয় করেছেন চার হাজার টাকা।
পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করবেন। তাই বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। সকাল থেকেই বসে রয়েছেন আনালিয়া বাড়ি এলাকায়। মাইক্রোবাসে জনপ্রতি চার হাজার আর ট্রাকে একহাজার টাকা ভাড়া হাঁকছেন চালকরা।
কেরামত আলী জানান, যে টাকা আয় করেছি তার মধ্যে এতো টাকা ভাড়া দিয়ে বাড়ি যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। চোখ মুখে তার হতাশার ছাপ। কেবল তিনি নন, তার মতো প্রায় কয়েক শত শত ধানকাটা শ্রমিক পড়েছেন চরম বিপাকে।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের হাকানো ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার সাধ্য তাদের নেই। বড়লোকের অনেক টাকা আছে। তাই তারা মাইক্রোবাস ভাড়া করে যেতে পারছে। আমরা কিভাবে যাবো। আমরা এখানে কোথায় থাকবো, কী খাবো? বাস চললে কম টাকায় বাড়ি যেতে পারতাম। এখন কী হবে জানি না।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, সকাল থেকে ট্রাকসহ ছোট ছোট যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আর কোথাও ধানকাটা শ্রমিক দেখলে তাদের যানবাহনের ব্যবস্থা করে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।