২০১৪ সালে সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যে হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হয়েছিল তাকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির একটি তদন্তকারী দল সেখানে ওই গণহত্যা নিয়ে গবেষণা করে আসছিল। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ওই হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেটের জিহাদিরা সফলভাবে রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন করেছিল এবং সেগুলো এই গণহত্যায় ব্যবহার করেছিল। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জানানো হয়, ইসলামিক স্টেট টিকরিট এয়ার একাডেমির নিরস্ত্র ক্যাডেটদের নির্যাতনের পর হত্যা করেছে। শুধু মাত্র শিয়া মতবালম্বী হওয়ায় ২০১৫ সালে তাদেরকে হত্যা করা হয়। সেই ভিডিওও প্রকাশ করেছিল ইসলামিক স্টেট।
২০১৭ সালে নিরাপত্তা পরিষদে ইরাকে সংগঠিত হওয়া যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই ইসলামিক স্টেটের নৃসংশ বর্বরতা নিয়ে তদন্ত করতে দল পাঠানো হয় সেখানে।
জিহাদিরা সেখানে গণহত্যা চালিয়েছে, এরপক্ষে ৬টি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় জাতিসংঘে। সেখানে থাকা গণকবরগুলো থেকে তথ্য প্রমাণ হাজির করা হয়েছে এই দফায়। ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও হার্ড ড্রাইভ থেকেও উদ্ধার করা তথ্য বিশ্লেষণ করে গণহত্যার সময়কাল নিশ্চিত করা হয়েছে।