× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চলনবিলে কৃষকের অস্থায়ী বসতি

বাংলারজমিন

চলনবিল (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৩ মে ২০২১, বৃহস্পতিবার

শস্য ভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকের ঘামে চাষকৃত ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষক মাঠের মধ্যে স্থাপন করেছে অস্থায়ী বসতি। সোনার ফসল ঘরে তুলতে কৃষক “ভাওরে” (স্থানীয় নাম) বসতি শুরু করেছেন। ধান কাটা শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় দুই মাস কৃষক ভাওরে বসবাস করবে। এ সময়ে তারা এখানেই থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় কাজ করবেন। সরজমিন দেখা গেছে, চলনবিল এলাকার ফসলি মাঠ অন্য এলাকার মাঠ থেকে বিশাল ফাঁকা। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামের দূরত্ব ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার। মাঝখানে ফাঁকা মাঠের জমিতে শুষ্ক মৌসুমে বোরো চাষ করেন কৃষক।
এই কিলোমিটারের পর কিলোমিটার দূরে থেকে পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে অসম্ভব হয়ে পড়ে। শত কষ্টে ফলানো সোনার ফসল ঘরে তুলতে বাধ্য হয়ে কৃষক মাঠের মধ্যেই স্থাপন করেছে অস্থায়ী বসতি। সবাই এখন ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাড়াশ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুধু তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২২ হাজার ৩ শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা  হয়েছে। চলনবিলে বিভিন্ন মাঠে দেখা যায়, ধান ঘরে তোলার জন্য চলনবিলে ছোট ছোট অস্থায়ী ঘর (ভাওর) তৈরি করা হয়েছে। চলনবিলের বিশাল মাঠের এক কোনায় অস্থায়ী ভাওর (রাত্রিযাপন) তৈরি করা হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি, বজ্রপাতের মধ্যেই সারারাত এই অস্থায়ী ঘরেই (ভাওর) রাতযাপন করেন কৃষকরা। এ ছাড়া দিনের বেলাও প্রচ- রোদ, ঝড়-বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সময়ে এই অস্থায়ী ঘরেই আশ্রয় নিয়ে থাকেন ক্লান্ত কৃষক-কৃষাণীরা। সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া গ্রামের কৃষক আলতাব আলী জানান, ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। বাড়ি থেকে ধানের জমি দূরে হওয়ায় ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য জমির পাশে বিলের মধ্যে অস্থায়ী ভাবে ভাওর তৈরি করে বসতি স্থাপন করেছেন। এখানেই তারা রান্না-খাওয়া ও রাতযাপন করছেন। আরেক কৃষক সুলতান মাহমুদ জানান, চলনবিলের মাঠে তাদের ২০ বিঘা জমি আছে। বাড়ি থেকে জমির দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় বিলে ধান কেটে মাড়াই করে ভাওরে বস্তাবন্দি করে রাখছেন। পরে গাড়ি দিয়ে ধান বাড়ি নিয়ে যাবেন। চাষিরা আরো জানান, বাড়ি থেকে জমির দূরত্ব হওয়ায় ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই বিলের মধ্যে জমির পাশে ভাওর করে অস্থায়ী বসতি করা হয়। অবশ্য এতে কৃষকের শ্রমিক মূল্য অনেকটা সাশ্রয়ী হয় বলে জানান তারা। চলনবিলের কৃষকের  রান্না-খাওয়া সব কিছুই এখন বিলেই। এ ব্যাপারে উপজেলা তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, চলনবিল এলাকার মাঠগুলো অনেক বড়। বাড়ি থেকে জমির দূরত্ব অনেক। তাই কৃষকরা তাদের সুবিধার্থে ধান কেটে মাড়াই করেন। ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা বিলেই অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর