× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফিলিস্তিনে হামলায় মার্কিন কংগ্রেসে ক্ষোভের আগুন ঝরালেন রাশিদা তৈয়ব

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) মে ১৪, ২০২১, শুক্রবার, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন ‘ইসরাইলিদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে’ নীতি গ্রহণ করেছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে আবেগঘন বক্তব্য রেখেছেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেট দলীয় সদস্য রাশিদা তৈয়ব। তার পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান ইসরাইলের বোমা হামলায় তেঁতে উঠছে। ভবন মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে মাটির সঙ্গে। রকেট হামলার জবাব দিতে পুরোপুরি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ১১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ অবস্থায় নিজের আবেগকে ধরে রাখতে পারেননি রাশিয়া তৈয়ব। মার্কিন কংগ্রেসে কারো রক্তচক্ষুর ভয় না করে নিজেই যেন ক্ষোভের আগুন ঝরালেন। পশ্চিমা বিশ্ব যখন একচোখা নীতি গ্রহণ করেছে, তখন তিনি তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ফিলিস্তিন নামে একটি দেশ আছে।
সেখানে শিশু, নারীরাও নৃশংসতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। অথচ পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিন, সেখানকার বেসামরিক জনগণকে হত্যার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে- সে বিষয়টি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। কংগ্রেসে তার ক্ষোভ ঝরে পড়লো। তিনি নিজদল ডেমোক্রেট থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার প্রশাসন, বিরোধী দল রিপাবলিকান- কাউকেই ছেড়ে কথা বলেননি। বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদে ফ্লোর নিয়ে তিনি নিজ দল থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্য নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন। ফিলিস্তিনিরা বর্তমানে গাজা যুদ্ধে যে নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি তা স্বীকার করে বিবৃতি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। রাশিদা বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন এবং উভয় দলের নেতাদের দেয়া বিবৃতি পড়ে মনে হচ্ছে- ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব মোটেও আছে এটা আপনারা হয়তো জানেনই না। ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে ঠিক এই মুহূর্তে হামলা চালিয়ে তাদের বাড়িঘর ছিন্নভিন্ন করে দেয়া হচ্ছে, পরিবারগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। অথচ তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। আপনাদের বক্তব্যে শিশুদের আটক করা ও হত্যা করার বিষয়ের উল্লেখ নেই। নামাজরত মুসলিমদের, পবিত্রতম স্থানে পবিত্রতম দিনে নামাজ আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি পুলিশ বাহিনী যে হয়রান ও সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে তার কোনো উল্লেখ নেই আপনাদের বিবৃতিতে। নামাজ আদায়ের সময় সহিংসতা, কাঁদানে গ্যাস, ধোয়া ব্যবহার করে আল আকসা ঘিরে রাখার বিষয়গুলো আপনারা উল্লেখই করেন নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর