× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিশুদের ঘরবন্দি ঈদ

অনলাইন

তামান্না মোমিন খান
(২ বছর আগে) মে ১৪, ২০২১, শুক্রবার, ৫:২৭ অপরাহ্ন

পাঁচ বছর বয়সী ছোট্ট আমিনা। মায়ের কাছ থেকে শুধু গল্প শুনে আসছে ঈদের পরে সে চিড়িয়খানায় যাবে। গতবারও ঈদ এসে চলে গেল চিড়িয়াখানায় যাওয়া হলো না। এবারও ঈদ আসছে কিন্তু মা বলেছে করোনার জন্য চিড়িয়াখানায় যাওয়া যাবে না। তাই আমিনার মন খুব খারাপ। ঈদে সে কোথায় বেড়াতে যেতে পারবে না। এবারও ঈদের দিন ঘরে আর ছাদেই কেটে যাবে তার। আমিনা বলে ঈদ এখন আর তার ভালো লাগে না।
আব্বু আম্মু তাকে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যায় না। আম্মু বলেছিল ঈদের পরে তাকে ছিড়িয়াখানায় নিয়ে যাবে কিন্তু এখন তো করোনা ভাইরাস তাই যাওয়া যাবে না। আমি কনোদিন সত্যিকারের বাঘ, সিংহ, হাতি দেখিনি শুধু টিভিতে দেখেছি। তাই আমি চিড়িয়াখানায় যেতে চাই। হলিক্রস স্কুলে ক্লাশ ফোরে পড়ে ফাতিমা। করোনার কারণে গত ঈদ এবং এই ঈদেও দাদুবাড়ি যেতে পারিনি সে। তাই ঈদের তেমন আনন্দ নেই তার। ফাতিমা বলে এভাবে ঘরের মধ্যে বন্দি ঈদ আমার ভালো লাগে না। আমরা সবসময় দাদুবাড়ি সিলেটে গিয়ে ঈদ করি। সেখানে কত মজা হয়। এবার তো আব্বু প্লেনে করে দাদুর সঙ্গে ঈদ করতে একাই গেছে। আমাদের করোনার জন্য নেয়নি। এজন্য আমার মন আরো খারাপ। আমি আর আম্মু একা একা ঈদ করবো বাহিরে কোথাও যেতে পারবো না। বন্ধুদের সঙ্গে কতদিন দেখা হয় না। শুধু অনলাইন ক্লাসের সময় ল্যাপটপে কয়েকজনকে দেখি। আমি এরকম ঈদ চাই না। আবার আগের মতো সবাই একসঙ্গে ঈদ করতে চাই। নাবিলা আর নেহেলা একজনের বয়স ১৩ আর একজনের ১১। তারা মিরপুরে থাকে দাদাবাড়িতে। নাবিলারা থাকে তিন তলায় আর দাদু ফুপিরা থাকে দুই তলায়। এক বাড়িতে থেকেও এবার ঈদের দিন দাদুর বাড়িতে যেতে পারবে না নাবিলা নেহেলা। তাই তাদের মন খুব খারাপ। নাবিলা বলে আমার, নেহেলার আব্বু ও আম্মুর চারজনের আমাদের করোনা হয়েছিল। কদিন হয়েছে আমরা সুস্থ হয়েছি। তারপরও শরীর খুব দুর্বল। আব্বু বলেছে দাদুবাড়িতে আমাদের আরো কিছুদিন না যেতে। কারণ দাদুর বয়স হয়েছে তাই তার কাছ থেকে আমাদের দূরে থাকতে। এবার ঈদে আমরা ঘর থেকেই বের হতে পারবো না। মেহেদীও দিতে পারবো না। ছোট ফুপি আমাদের সব সময় মেহেদী দিয়ে দেয়। এখন তো ফুপিরও মানা আমাদের বাসায় আসা। এক বাড়িতে থেকেও আমরা কেউ কাউকে দেখতে পারছি না। তাই আমাদের ঈদের কোনো খুশি নেই। লুজাই বিজ্ঞান স্কুলে ক্লাস থ্রিতে পড়ে। করোনার পর থেকে বাসায় লেখাপড়া আর বারান্দা দিয়ে পাশের ফ্ল্যাটের বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেই সময় কাটে তার। লুজাই বলে ঈদের দিনও এভাবেই কাটবে তার। তবে আব্বুকে বলেছে সে ঈদের তাকে নিচে সাইকেল চালাতে দিতে হবে। এভাবে থাকতে আর ভালো লাগে না। আমি ঈদের দিন বেড়াতে যেতে চাই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর