জুভেন্টাসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অবস্থান ঠিক আগের মতো নেই। ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ ফুরাবে আগামী বছর। এর মধ্যে খবর বেরিয়েছিল, ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন। আগ্রহী ক্লাবের তালিকায় আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) নাম। আর রোনালদোর মায়ের সর্বশেষ বক্তব্যে আলোচনায় উঠেছে তার প্রথম পেশাদার ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনও। তবে রোনালদোর এজেন্ট হোর্হে মেন্দেস বলেছেন, রোনালদোর মায়ের কথা সত্যি নয়। রোনালদোর মা দোলোরেস আভেইরোর ঘোষণা দিয়েছিলেন, ছেলে ফিরছেন স্পোর্টিং লিসবনে। এক দিন পরেই রোনালদোর মুখপাত্র হোর্হে মেন্দেস জানিয়ে দিয়েছেন, ওসব ফাঁকা বুলি।
দোলোরেস নিজে স্পোর্টিং সমর্থক।
ছেলের ক্যারিয়ারের শুরুটাও লিসবনের ক্লাবটিতে। সেই স্পোর্টিং লিসবন এবার জিতেছে পর্তুগিজ প্রিমেরা লিগের শিরোপা। লীগে ২০০২ সালের পর এটি তাদের প্রথম শিরোপা। ক্লাবের সাফল্য উদ্যাপন করতে গিয়ে লিসবনে নিজ বাসার বারান্দা থেকে সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন দোলোরেস। সেখানেই বলেন, ‘(স্পোর্টিং লিসবনে) ফিরিয়ে নিয়ে আসতে আমি ওর (রোনালদো) সঙ্গে কথা বলবো। আগামী বছর সে আলভালাদেতে (স্পোর্টিং লিসবনের স্টেডিয়াম) খেলবে।’
তবে এক দিন না যেতেই বাগড়া দিয়ে বসেছেন রোনালদোর এজেন্ট হোর্হে মেন্দেস। পতর্ুৃগিজ সংবাদপত্র রেকর্দকে মেন্দেস বলেন, ‘স্পোর্টিংং যে শিরোপা জিতেছে, তার জন্য রোনালদো গর্বিত। তবে এই মুহূর্তে পর্তুগালে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই তার।’ পর্তুগালের সেরা তিনটি ক্লাবের একটি স্পোর্টিং লিসবনের বয়সভিত্তিক দল থেকে মাত্র ১৬ বছর বয়সে মূল দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন রোনালদো। মাত্র এক মৌসুমের মধ্যেই ক্লাবটির অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৮, ‘বি’ দল ও মূল দলে খেলেন তিনি। ২০০২-০৩ মৌসুমে স্পোর্টিং লিসবনের মূল দলে খেলে রোনালদো নাম লেখান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতাতে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে তুরিনে পা রেখেছিলেন, কিন্তু এবার দলকে ইতালিয়ান লীগও জেতাতে পারেননি রোনালদো। আতালান্তার কাছে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে হেরে গেলে মৌসুমটা ট্রফিহীনই কাটাতে হবে রোনালদোদের।