শুক্রবার ২৮ ডিসেম্বর ২০০৭ দিন ২৬০গতকাল আমার ভাইয়ের মৃতদেহের সৎকারের উদ্দেশ্যে আমাকে ১২ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়ে পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু জেলগেটে সরকারের পক্ষ থেকে ইচ্ছে করেই বিলম্ব করা হয়েছিল যাতে করে আমি দলের নেতাকর্মীসহ অন্যান্যের সাথে মিলিত হবার সুযোগ না পাই। এ ধরনের অনুষ্ঠানে সচরাচরই নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই আমি আর শেষবারের মতো আমার ভাইয়ের মুখদর্শন করতে পারিনি এবং তার জানাজায় অংশ নিতে পারিনি। আমি যখন আজিমপুর গোরস্থানে পৌঁছি ততক্ষণে সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে এসেছে। প্রিজন ভ্যানে এক ডজন সশস্ত্র প্রহরীবেষ্টিত অবস্থায় সেখানে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি তখন বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘের দেওয়া আমার ভাইয়ের কবরে তার আত্মার জন্য মাগফেরাত কামনা করি। সেখান থেকে মোহাম্মদপুরে আমার ভাইয়ের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গকে সান্ত¡না দেওয়ার জন্য তাদের বাসায় যাই। সেখানে আমার সমস্ত আত্মীয়স্বজন, আইনজীবী ও টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিল।
আমাকে যেভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করিয়ে দিয়ে নাজেহাল করা হয় সে সম্পর্কে আজ অনেক কাগজেই বিস্তৃত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যাই হোক, রাত ৯টার পরে আমি আমার সেলে ফিরে আসি। আমাকে ১২ ঘণ্টার জন্য প্যারোল দেওয়া হলেও আসলে আমি বাইরে ছিলাম মাত্র তিন ঘণ্টা।
হাসনা একটা মেসেজ পাঠিয়ে আমাকে জানিয়েছে যে, টিভি চ্যানেলে সে ঘটনাক্রম সব দেখেছে।
শনিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০০৭ দিন ২৬১২৭ ডিসেম্বর আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা উপমহাদেশসহ গোটা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। পাকিস্তানে গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য নির্বাসন থেকে ফিরে আসার মাত্র দুই মাসের মাথায় এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মাত্র ১২ দিন আগে প্রথম মুসলিম মহিলা প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টো রাওয়ালপিন্ডির এক জনসভায় গাড়ি থেকে নামার মুহূর্তে বন্দুক ও বোমার আঘাতে নিহত হন। তার সাথে আরো ২৭ জন ঘটনাস্থলে নিহত এবং কয়েকশত নারী-পুরুষ আহত হন। বেনজির ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর কন্যা। যার অধীনস্থ নিজস্ব সামরিক বাহিনী প্রধান এক বিচারে দণ্ডিত করে তাকে ফাঁসি দিয়েছিল ২০০৮ সালের ৮ জানুয়ারি। অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে বেনজীর ভুট্টোর দল নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করবে বলে মনে করা হচ্ছিল। ইসলামী জঙ্গি তালিবানদের এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হলেও বিভিন্ন রিপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি অংশ এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছে। অবশ্য এই ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বিশ্বের ইতিহাসে সবসময় রহস্যাবৃতই থেকে গেছে।
২০০২ সালে আমার দক্ষিণ এশিয়া: উন্নয়নের সংকট বইয়ে পাকিস্তানের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছি যে, অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা এই দেশকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত করার কারণে সময়ান্তে পাকিস্তান একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। বাংলাদেশেও একই ধরনের পরিস্থিতির অবতারণা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
রবিবার ৩০ ডিসেম্বর ২০০৭ দিন ২৬২এখনো আমার ডায়রিয়া পুরোপুরিভাবে সারেনি। জেল হাসপাতাল থেকে ভুল ওষুধ দেওয়ার ফলে আমার মুখে আলসার দেখা দিয়েছে। এর ফলে গত পাঁচদিন আমি শক্ত কোনো খাবার খেতে পারিনি। কেবল নির্ভর করতে হয়েছে তরল খাবারের ওপর।
জরুরি ব্যবস্থাধীনে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পিজি হাসপাতালে। সেখানে বেশ কয়েক রকমের টেস্ট করানো হয়েছে। মুখ দিয়ে খাওয়ার সকল ঔষুধ বাতিল করে দিয়েছে ওরা। নতুন দেওয়া ঔষুধগুলো খেয়ে সেরে উঠতে এখন ৫ থেকে ৭ দিন লেগে যাবে। এতে অন্যকে দোষ দিয়ে লাভ কি!। সুপ্রিম কোর্টের নেতৃস্থানীয় আইনজীবী আওয়ামী লীগের ওজায়ের ফারুক। নিজের গাড়িতে বসা অবস্থায় নিঃশব্দে ইন্তেকাল করেছেন। তিনি ছিলেন একজন সজ্জন ব্যক্তি, আমার বন্ধু স্থানীয়। আমি তার জন্য দোয়া করি।
সোমবার ৩১ ডিসেম্বর ২০০৭ দিন ২৬৩বাংলাদেশের জন্য বছরটি ছিল দুঃখভারাক্রান্ত, ইতিহাসের কৃষ্ণতম এক অধ্যায়। এ বছর আমরা গণতন্ত্রের সমাধি রচিত হতে দেখেছি, দেখেছি স্বৈরতন্ত্রের উত্থান, মানবাধিকারের চরমতম লঙ্ঘন, মৌলিক অধিকার হরণ ও বিচার প্রশাসনে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও অধিকার খর্বকরণের প্রক্রিয়া, দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বী ভাব, অন্যায়-অপরাধের বিস্তৃতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনীতির ক্রমাবনতি। এ বছরে আমরা দেখেছি, অনির্বাচিত ও অসাংবিধানিক একটি সরকার কীভাবে সমাজকে ধ্বংস করে ফেলে এবং বাংলাদেশকে পরিণত করে একটি দুর্বল রাষ্ট্রে। এ বছরে আমরা আরো দেখেছি, কীভাবে সরকার রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে অচল করে দিয়েছে। আমরা দেখেছি, কীভাবে উন্নয়নের প্রক্রিয়া ভূলুণ্ঠিত হয় এবং সুপ্রিম কোর্ট পবিত্র সংবিধানের সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়। আমরা দেখেছি যে সমস্ত আইনজীবী ও বিচারক সবসময় গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার ছিল, তারা কীভাবে বাকহীন হয়ে ক্ষমতাশালীদের সমর্থন দিয়ে যান।
আমাকে আবার নেওয়া হয়েছিল পিজি হাসপাতালে। দেওয়া হয়েছে আরো ওষুধ।
মঙ্গলবার ১ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৬৪আজকের নববর্ষের প্রথম দিনে ফসলের ভরা মৌসুমেও জনগণ মোটা চাল কি কেজি প্রতি ৩০ টাকা দরে এবং ভোজ্যতেল কিনছে ১১০ টাকা হিসেবে। গত সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বেড়েছে ১০ শতাংশ। সরকার এ বড় নীরব এবং সিন্ডিকেটগুলোর দ্রব্যমূল্য নিয়ে অহরহ কারসাজির বাপ সংবাদপত্রগুলোও আর কিছু লিখছে না।
তারেক রহমান এক ভয়াবহ অবস্থায় আজ রিমান্ড থেকে ফিরে এসেছে। তাকে পেটানো হয়েছে নির্দয়ভাবে, চোখ বেঁধে করা হয়েছে শারীরিক নির্যাতন ও ইংরেজি ডিকশনারিতে যতরকম অশ্রাব্য শব্দ আছে সেগুলো প্রয়োগ করে তাকে গালাগাল করা হয়েছে। তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ঘরের সিলিং-এ হাতবাঁধা অবস্থায় ঝুলিয়ে লাঠি ও লাথিপেটা করা হয়েছে। এক সময় ধপাস করে ফেলে দেওয়া হয়েছে মেঝেতে।
আঘাতের চোটে ওর শিরদাঁড়া ভেঙে গেছে। মৃত্যুর মুখোমুখি নিয়ে গিয়ে আপাতভাবে তাকে এমন পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে যাতে তরুণ এই নেতা বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
গাজীপুর থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির একজন বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন আমার সাথে একই সেলে অবস্থান করছে বিগত কয়েক মাস ধরে। যৌথবাহিনীর তাড়া খেয়ে তার স্ত্রী এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। একজন শিশুসন্তানকে নিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পালিয়ে বেড়িয়েছে সেদিন। কাটাচ্ছে দুর্বিষহ এক অবস্থায়। এই নির্যাতন শুরু হয়েছে ঈদ-উল-আজহার আগের রাত থেকে। টেলিফোনে অনবরত অশ্রাব্য ভাষায় হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে অন্তরীণাবদ্ধ স্বামীর ব্যাপারে তথ্য চেয়ে বলা হচ্ছে যে, তাদের সাথে সহযোগিতা
করলে তার বিরুদ্ধেও নতুন মামলা দায়ের করে অন্যান্য সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রী সিগমা হুদা ও সাবেরা আমানের মতো তার দশা করা হবে।
বুধবার ২ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৬৫জেল হাসপাতালের ভুল ওষুধ প্রয়োগের ফলে আমার মুখে দেখা দেওয়া আলসার এখনো সারেনি। ফলে গত ৭ দিন শক্ত কোনো খাবার আমি খেতে পারিনি। যাই হোক না কেন, ওষুধ খেয়ে সারতে স্বাভাবিকের চাইতে আমার সময় লাগে বেশি। এর কারণ হলো, আমার অন্যান্য ওষুধের প্রতিক্রিয়া। সারা জীবন আমাকে সেবন করতে হবে ২৫ মিলিগ্রামের হাইড্রোকর্টিজন। এর ফলে আমার শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিনে দিনে কমছে। ১৯৮৮ সালে লন্ডনে কুইন স্কোয়ারে ন্যাশনাল হাসপাতালে পিটুইটরি টিউমার অপসারণের জন্য করা একটি অপারেশনের পর থেকে আমার এই অবস্থা। দৃষ্টিশক্তি বহাল রাখার জন্য সেই অপারেশন করা হয়, যা না করা হলে আমি চিরজীবনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতাম।
কাজেই আমার সুস্থাবস্থা বহাল রাখতে গিয়ে আমাকে নিজেকে সক্রিয় জীবনযাপন করে অনবরত ব্যস্ত রাখতে হয়। যে কোনোরকমের মানসিক অত্যাচার ও যন্ত্রণা আমার চিরশত্রু। উচ্চতম আদালতের বিচারকেরা ভয়ে গর্তে অবস্থান না করলে এতদিনে আমি জামিনে মুক্ত জীবনযাপন করতে পারতাম।
বৃহস্পতিবার ৩ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৬৬মুখের আলসারের চিকিৎসার জন্য আমাকে নেওয়া হয়েছিল পিজি হাসপাতালে। এই আলসার অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ও অসুবিধাজনক।
গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম বেড়েছে প্রতি কেজি ৫ টাকা। দৈনিক ইত্তেফাকে রিপোর্ট বেরিয়েছে অনেক পরিবারে খাবার কেনার জন্য টাকা বাঁচাতে গিয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় হাঁড়িসহ রান্না করা ভাত চুরি হয়ে যাচ্ছে। খাদ্য উপদেষ্টা বলছেন, দাম বেড়ে গেলে সরকারের কিছু করার নেই। তার এই বলার সাথে সাথে চালের দাম আরেক দফা বেড়ে গেছে। তার বক্তব্যের ব্যাপারে চারদিক থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হলে অর্থ উপদেষ্টা আবার এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, খাদ্য উপদেষ্টার বক্তব্য সঠিক নয়। ঠিক এভাবেই চলছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড, যেখানে দেশে চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ ও লোকজন মারা যাচ্ছে অনাহারে।
শুক্রবার ৪ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৬৭বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান সরওয়ারের স্ত্রী যৌথবাহিনীর অত্যাচার থেকে নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে কয়েক মাস ধরে তার শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে এবং অপর তিন সন্তানকে আত্মীয়দের বাসায় রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তার পরিবারে নেমে এসেছে ভয়াবহ দুর্যোগ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ও স্বাভাবিক পারিবারিক জীবনযাপনের ওপর নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। পরিবার ও সন্তানাদির ওপর এ ধরনের অত্যাচার নির্যাতন। অবিশ্বাস্য হলেও বাস্তবেই তা ঘটছে। প্রতিদিন এ জাতীয় ঘটনার কথা আমার কানে আসছে।
দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পরিবার নিয়ে এসব ঘটনা যতই আমি শুনি, ততই আমার মনে হয় যে, এই জংলী আইনের আওতায় না রেখে আমার যা-ই হোক না কেন, হাসনাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে আমি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। আমি বোধহয় যৌথবাহিনীর হাত থেকে বাঁচার জন্য হাসনাকে পালিয়ে বেড়াতে বা জেলখানায় দিন কাটাতে দেখার ঘটনা সহ্য করতে পারতাম না।
শনিবার ৫ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৬৮দিনকে দিন খাদ্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে অভিজ্ঞতা ও জনগণের প্রতি কমিটমেন্টের অভাবের কারণে সরকার পরিস্থিতি সামলাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে চলমান এ দুর্ভিক্ষে আরো অনেক লোকের প্রাণহানি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এসব ঘটনা মনিটর করার জন্য কোনো কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা হয়তো মনে করছেন যে, এটা সেনা প্রধানের দায়িত্ব, কারণ তিনি সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। আর জনগণ ও প্রশাসন থেকে অনেক দূরে ক্যান্টনমেন্টে বসে সেনাপ্রধান মনে করছেন, এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব। তিনি ভাবছেন এর দায়ভার বহন করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
জনগণ অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে অনুধাবন করতে পারছে যে, কয়েকশত ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে তাদের অন্নবস্ত্রের অভাব ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সমাধান ঘটানো যাবে না। তারা এখন রাস্তায় নামতে প্রস্তুত, কিন্তু তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই। ফলে সংকটাবস্থা চলছেই।
(চলবে..)