× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রশ্নগুলো তো নীরব থাকছে না

ফেসবুক ডায়েরি

আলী রীয়াজ
২২ মে ২০২১, শনিবার

রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকা একজন মানুষ যখন মারা যায় তখন তার দায় রাষ্ট্রের, সরকারের। এই কথাগুলো বহুবার বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও রাষ্ট্রের হেফাজতে থাকা মানুষের মৃত্যুর ঘটনা কমছে না। ২০১৮ সালে আগের বছরগুলোর ঘটনাপ্রবাহ বিচার করে প্রশ্ন করেছিলাম- ‘হেফাজতে মৃত্যু কি এখন ‘স্বাভাবিক’ (প্রথম আলো, ১৪ মার্চ, ২০১৮)। তার ৫ বছর আগে আইন করে হেফাজতে মৃত্যুর বিরুদ্ধে বিধান করা হয়েছিলো। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রশ্ন করেছিলাম- ‘হেফাজতে মৃত্যু বেআইনি, কিন্তু বিচার হয় না কেন?” (প্রথম আলো, ৬ জানুয়ারি ২০২১)। কে তদন্ত করে, কে কার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়? ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের আওতায় আটক অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদ মারা গেলেন জেলের ভেতরে, সেটা ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা।
কারাবন্দি অবস্থায় হেফাজতে ইসলামের নেতা ইকবাল হোসেন মারা গেছেন বৃহস্পতিবার। তাঁর সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়নি। সহিংসতাসহ একাধিক অভিযোগে আটক অবস্থায় তাঁকে তিনবার রিমান্ডে নেয়া হয়েছিলো। তাঁর মৃত্যু আবারও প্রশ্ন তুললো এই মৃত্যুর তদন্ত হবে কিনা, কে করবে। ২০১৮ সালে যেমন বলেছি, ২০২১ সালে যেমন বলেছি তেমনি বলি – মানবাধিকার সংস্থাগুলো এক নিরবতার মধ্যে আছে কিন্ত এই প্রশ্নগুলো তো নিরব থাকছে না।

লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর