আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করি। যখন অনুষ্ঠানে অংশ নিতাম, নিজের পরিচয় দেবার পর তারা সবাই ভাবতো ভারতের কোন প্রদেশ। তখন বলতে হতো, ভারতের প্রদেশ না প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। আমার ইগোতে লাগতো। আর আমি সিদ্ধান্ত নেই বিশ্বরেকর্ড গড়ব। এরপর এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাই এবং খুঁজতে থাকি কোন রেকর্ডটা করা সম্ভব। এরপর অনেক সাধনা করে ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডসে নিজের নাম লিপিবদ্ধ করি। এভাবেই উচ্ছ্বাসের কথা বলছলেন বিশ্বরেকর্ড গড়া বাংলাদেশি তরুণী সাজিয়া আফরিন সুলতানা মিথিল।
মিথিল দীর্ঘতম সময়ে টুথপেস্টের একটি পরীক্ষা করার মাধ্যমে তিনি এই রেকর্ডটি গড়েছেন।
গত ১৭ই মে ‘ইন্ডিভিজুয়াল ও এক্সট্রাঅরডিনারি’ ক্যাটাগরিতে রেকর্ডটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে কোহিনূর ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডসের কর্তৃপক্ষ। ১৬ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের ব্যবধানে একজন বৃটিশ নাগরিক মিকাইলকে টপকে এই রেকর্ডের শীর্ষস্থান দখল করেছেন মিথিল।
তার চ্যালেঞ্জ ছিল টুথপেস্ট, ব্রাশ ও আরো কিছু রাসায়নিক দিয়ে বুদবুদ সৃষ্টি করা। কেবল বুদবুদ সৃষ্টি করাই নয়, তা হতে হবে দীর্ঘতম সময় ধরে। তিনি এই পরীক্ষাটি করেছিলেন ৬১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড ধরে। যা ছিল দীর্ঘতম। সেই বৃটিশ নাগরিক মিকাইলের সময় ছিল ৪৫ মিনিট। পরীক্ষার এসব ডকুমেন্ট তিনি পাঠান ৫ই মে।
মিথিল রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন এন্ড এন্টপ্রনারশিপ বিভাগে ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি তিনি একজন উদ্যোক্তা এবং সমাজকর্মী।
মিথিল আরো বলেন, আমি থেমে যাবো না। আরো বিশ্বরেকর্ডের দিকে এগিয়ে যাবো। এখন আমাকে আরো অনুসন্ধান করতে হবে কোন রেকর্ডটা গড়ার যোগ্যতা রাখি।