× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে-(৫৬) /‘অধিকাংশেরই মন্ত্রী হিসাবে কাজ করার যোগ্যতা ছিল না’

বই থেকে নেয়া

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ মে ২০২১, রবিবার

রবিবার  ৬ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৬৯
মানবাধিকার সংস্থা অধিকার-এ আজ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গত বছর আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে ১৮৪ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। এগুলো সবই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।

বন্দিজীবনে কিছু চমৎকারিত্বও রয়েছে। রাজনীতিবিদেরা এখানে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, রাজনীতি নিয়ে, দেশের ভবিষ্যৎ, কী করা উচিত এবং অনুচিত, জেলখানা নিয়ে কী ধরনের সংস্কার করা উচিত ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা সংবাদপত্রের রিপোর্টগুলোকে বিশ্লেষণ করেন, সচিবালয়ের গালগল্প, ক্ষমতাসীন সরকারের ভালো-মন্দ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করেন।

এদের মধ্যে কেউ কেউ বই-পুস্তক পড়াশোনা করেন আবার কেউ কেউ সময় কাটান ইবাদত-বন্দেগিতে। কয়েদিদের সাথে তাদের গড়ে ওঠে একটা নিবিড় সম্পর্ক। কিন্তু মুক্ত হওয়ার সাথে। সাথেই তারা অন্তরীণাবস্থার দিনগুলোর কথা বেমালুম ভুলে যান, ভুলে যান তাদের আবেগ, প্রতিশ্রুতি এবং বন্দিজীবনে তাদের গড়ে ওঠা সখ্যতার কথা।
মুক্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার সাথে সাথে তারা ফিরে যান নিজেদের পরিবৃত্তে, নিজেদের পেশা, রাজনীতি ও পরিবারের সাহচর্যে। তাদের মধ্যে আর দেখা-সাক্ষাৎ হয় না বললেই চলে। আর দেখা হলেও তারা অতীত নিয়ে কথা বলেন কমই। আর এরপর ক্ষমতায় গেলে তো কথাই নেই, এসব স্মৃতি একেবারেই বিস্মৃত হয়ে যায়।

সোমবার ৭ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৭০
আমি গিয়েছিলাম পিজি হাসপাতালে। সফরত বৃটিশ এমপি মার্গারাথ অ্যান মেইনের নিকট আমি একটা খসড়া স্মারকলিপি দলের মহাসচিবের কাছে দেওয়ার জন্য হস্তান্তর করেছি।

উন্নয়নশীল বেশিরভাগ সমাজব্যবস্থায় যারা ক্ষমতা করায়ত্ব করেন তারা সবসময়েই নিজেদের অনেক জনপ্রিয় বলে মনে করেন এবং ভাবেন যে, এই জনপ্রিয়তা কোনোদিন কমবে না। তারা মনে করেন ক্ষমতা হলো চিরস্থায়ী এবং চিরদিন ক্ষমতায় থাকার জন্যই তারা এসেছেন। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু থেকে তাদের বিতাড়িত করার ঠিক পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তারা এই ধারণাই পোষণ করেন।

ভীতি ও সন্ত্রাস বিস্তার করে কারো পক্ষে দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যত বেশি চাপ প্রয়োগ করা হবে, তার প্রতিক্রিয়া হবে ততটাই বিপরীতমুখী এবং দ্রব্যমূল্য এর ফলে শুধু বাড়তেই থাকবে। ১৯৭৪ সালের মহাদুর্ভিক্ষের সময় জাতি এই অভিজ্ঞতাই প্রত্যক্ষ করেছিল।

যেসব আইনজীবী, সম্পাদক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও রাজনীতিবিদ প্রাথমিক পর্যায়ে এই সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন, আজ পর্যায়ক্রমে তারা পিছু হঠতে শুরু করেছেন। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। শুধু তাই নয়, এমন একদিন আসবে যখন একই মহল এই সরকারের তীব্র সমালোচনা করবেন।

মঙ্গলবার ৮ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৭১
এক চমৎকার ঘটনা ঘটেছে। একজন উপদেষ্টা আগেই বিদায় নিয়েছিলেন, এবার আরো চারজনকে বিদায় দেওয়া হলো। ১০ জনের মধ্যে ৫ জনই এখন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যপদ হারিয়েছেন। ক্যান্টনমেন্টের চাপে সবচাইতে বাকপটু মঈনুল হোসেন পদত্যাগ করেছেন। যা নিয়ে আগেই আমি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম। অথচ অত্যন্ত আন্তরিকভাবেই তিনি সরকার তোষণে নিয়োজিত ছিলেন। তার সাথে চলে গেছেন শিল্প উপদেষ্টা গীতি আরা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মতিন খান এবং দুর্নীতির সাথে জড়িত অভিযোগে তপন চৌধুরী। অধিকাংশেরই মন্ত্রী হিসাবে কাজ করার যোগ্যতা ছিল না। শিক্ষা উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছিলেন এর আগেই।

আজ ভোরবেলায় হঠাৎ আমার মাকে মনে পড়লো। তিনি ছিলেন অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের। আমার কাছে তার কোনো দাবি ছিল না। কোনোদিন তার জন্য আমাকে কিছু করতে বলেননি। তিনি ছিলেন অতি সাধারণ, নিবেদিত প্রাণ, স্বল্পভাষী; কিন্তু আমাদের প্রতি গভীর ভালোবাসায় সিক্ত। বৃষ্টির দিনগুলোতে অনেকবার তিনি আমাদের কাপড় বদলে দিয়েছেনÑ স্কুল থেকে ফেরার পর, আবার খেলাধুলা শেষে। ঘরে ফেরার পর। আমাদের সকলের জন্য তার কাছে ইস্তিরি করা শুকনা কাপড়চোপড় সবসময় মজুদ করা থাকতো।

বন্দিজীবনের একাকিত্বে আমানের কথা মনে হলেই পানিতে আমার চোখ ভরে আসে। আমানের চারদিকের পৃথিবী অনেক ক্ষুদ্র পরিসরের। যখন সে হাসে, তাকে খুশি দেখি আমি তখন আনন্দে আবেগে উদ্বেলিত হয়ে উঠি। আমান আমার জীবনের সূর্যের আলো।

বুধবার ৯ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৭২
সংবিধানের ৫৮ ঘ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেবলমাত্র রুটিনমাফিক কার্য সম্পাদন করবে এবং তার মেয়াদকাল ৯০ দিন। অতি জরুরি না হলে রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুতর বিষয়ে নীতি নির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে।

অথচ ক্ষমতায় আসার প্রথম পর্যায় থেকেই এই সরকার সংবিধানের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করে দীর্ঘমেয়াদী সব পরিকল্পনা ও আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে এবং শুরু করেছে দুর্নীতি দমন ও রাজনৈতিক সংস্কার যা তাদের কাজ নয়। দেশ যেখানে চলে বন্দুকের জোরে সেখানে অবশ্যই সংবিধানের পবিত্রতা নিয়ে কথা বলাই বাতুলতা মাত্র।

আমার পরামর্শ অনুযায়ী আজ তারেক রহমান কোর্টে গিয়ে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তার ওপর চালানো শারীরিক নির্যাতন, দু’চক্ষু বাঁধা অবস্থায় যৌথবাহিনীর অত্যাচার ইত্যাদি সবিস্তারে ব্যক্ত করেছে। তার এই বিবরণী সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় এই ঘটনা বিশ্বব্যাপী সরকারের মুখোশ উন্মোচিত করে দিয়েছে। সে বলেছে কীভাবে পিছমোড়া করে তাকে দুহাত বেঁধে ঝোলানো হয়েছে সিলিং-এর সাথে এবং হঠাৎ করে রশি ঢিলা দেওয়ার পর ধপাস করে মাটিতে পড়ে তার শিরদাঁড়া ভেঙে গেছে।

বৃহস্পতিবার ১০ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৭৩
দেশের বিচার বিভাগের ওপর যৌথবাহিনীর সরাসরি হস্তক্ষেপের ফলে আমানুল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান হাইকোর্ট বিভাগ থেকে জামিন পাওয়ার দীর্ঘ একমাস পর শেষ পর্যন্ত জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। একটি অবৈধ সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার এটি একটি প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত যা কেবল একটি অসাংবিধানিক ও অমানবিক সরকারের জন্যই সাজে। পাঁচজন নতুন উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে পাঁচজন উপদেষ্টার বিদায় ও নতুন পাঁচজনের অভিষেক সরকারের ব্যর্থতাই প্রকটভাবে প্রকাশ করেছে। কাজেই নতুন এই নিযুক্তি সরকারের মধ্যে গুণগত কোনো পরিবর্তন আনবে এটি আশা করা যায় না।

শুক্রবার ১১ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৭৪
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতা, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরমাবনতি, খাদ্য-সার-বিদ্যুতের চরম সংকট ও জনগণের চরম দুর্গতি উপহার দেওয়া ছাড়া এ সরকারের এক বছর পূর্তির আর বিশেষ কোনো অবদান নেই। এ বছরটি বিশেষ করে মানবাধিকারের চরমতম লঙ্ঘন, রাজনীতিবিদদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বছর হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে। সংবিধানের ওপর দেওয়া জনগণের ম্যান্ডেটকে উপেক্ষা করে জনগণের অধিকারকে পদদলিত করে বাংলাদেশের জনগণকে এক ধরনের একটি অমানবিক বছরই উপঢৌকন দেওয়া হয়েছে।

ব্যর্থতার গভীরতার মাত্রা পরিমাপ করে ইতিমধ্যেই সাধিত, আত্মঘাতি ও অপূরণীয় দুর্দশার প্রেক্ষাপটে এখন কোনো কোনো নবনিযুক্ত উপদেষ্টা দিকনির্দেশনাবিহীনভাবে নতুন করে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠান শুরু করার উপর বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে সংলাপ শুরু করার কথা বলা হলেও রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াও রয়েছে অব্যাহত। এরই মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বার্জ মাউন্টেড মামলায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে আজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ দুটি অবস্থা কিছুতেই একসঙ্গে চলতে পারে না। সংলাপ অর্থ যদি হয় রাজনৈতিক সমঝোতার একটি অংশ, তাহলে সংলাপের সফলতার জন্য অবশ্যই রাজনৈতিক নির্যাতন বন্ধ করে উপযুক্ত একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এ সাধারণ বিষয়টিই তাদের জানা নেই।

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মানবাধিকার সংক্রান্ত কর্ণধার মিস আইরিন খান বাংলাদেশে সাত দিনের সফর শেষে ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে জরুরি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার ১২ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৭৫
দুই নেত্রীকে জেলখানায় আবদ্ধ রেখে রাজনৈতিক সংলাপ সফল করার স্বপ্ন দেখার। আরেক অর্থ বোকার স্বর্গবাস।
বর্তমানের জনপ্রিয় দাবিগুলো হলো দুই নেত্রীর মুক্তি জরুরি আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা। সরকারকে পরিস্থিতি চরমতম অবনতির দিকে যাওয়ার আগেই সে লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। যত শীঘ্র এটা করা হবে জাতির জন্য এবং সেনাবাহিনীর সুনামের জন্য তা হবে ততই মঙ্গল।

কিন্তু সরকারের ক্ষমতালিপ্সা, অসংলগ্নতা ও সিদ্ধান্ত ততটা সহজ হবে বলে আমি মনে করছি না।

রবিবার ১৩ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৭৬
প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রাজনৈতি সংলাপ অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করেছেন। বাস্তবে তা হলো সরকারের চরমতম ব্যর্থতাসমূহ থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার একটা অপকৌশল মাত্র। খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ, ব্যাপক কর্মসংস্থানহীনতা, দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি চারদিকে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এসবে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কেবলমাত্র নির্বাচন বিলম্বিত করে ক্ষমতার অবৈধ দখল প্রলম্বিত করাই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। প্রধান উপদেষ্টাকে যা করতে বলা হচ্ছে তিনি কেবল তা-ই করছেন।

দুই নেত্রীকে মুক্তিদান এবং জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য সংলাপের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। সরকার ইচ্ছে করলে এমনিতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ঘোষণা দিতে পারে। দেশের আইন ও সংবিধানের আওতায় অতিদ্রুত এতদসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

কাজেই সংলাপের প্রস্তাবটি একটি ছদ্মাবরণ মাত্র। এর আগে এরশাদও একই খেলা খেলে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সংলাপ করে একবছর সময় ক্ষেপণ করেছিলেন এবং তার ফলাফল শেষ পর্যন্ত ছিল শূন্য। আসলে রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে ক্ষমতা ভাগাভাগির টোপ ফেলে ও সংলাপের তামাশায় প্রচারমাধ্যমকে ব্যস্ত রেখে পক্ষান্তরে জনগণের মূল ইস্যুগুলোকে চাপা দিয়ে তাদের ক্ষুধা, দারিদ্র ও দুঃখ-দুর্দশা বাড়ানো ছাড়া এ কৌশল আর কোনো ফলাফল বয়ে আনবে না।

সোমবার ১৪ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৭৭
গতকাল বার্জ মাউন্টেড পাওয়ার প্ল্যান্ট মামলায় শেখ হাসিনা আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কড়া এক বিবৃতি দিয়েছে যা প্রচার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। তিনি পরিষ্কার ভাষায় আদালতকে বলেছেন যে, এটি যথার্থ একটি আদালত নয় এবং বিচারটিও যথাযথ প্রক্রিয়ায় হচ্ছে না। এটি ক্যাঙ্গারু কোর্টে এক ধরনের ক্যামেরা ট্রায়াল। এখানে সামরিক অফিসারদের নির্দেশ অনুযায়ী রায় দেওয়া হয় এবং কিছুতেই সুবিচার প্রত্যাশা করা যায় না। তিনি দাবি করেন যে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ভুয়া ও বানোয়াট এবং কেবলমাত্র রাজনীতিবিদদের নিগ্রহ করার জন্যই তা দায়ের করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে নির্বাচন দাবি করেছেন।

আমি আমার লেখার কাজে ভীষণ রকমের ব্যস্ত। সময়ে সময়ে আমান, আনা ও হাসনার মুখ আমার চোখে ভেসে উঠলে বিষণ্নতায় মন ছেয়ে যায়।

(চলবে..)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর