× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে-(৫৭) /‘এই অমার্জনীয় অপরাধের জন্য কারো কোনোদিন শাস্তি হবে কিনা জানি না’

বই থেকে নেয়া

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মে ২০২১, সোমবার

মঙ্গলবার ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৭৮
সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করে, পূর্ণ এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর, নির্বাচন কমিশন শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠান বিলম্বিত করে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে সংসদীয় এলাকাগুলো পুনর্বিন্যাসের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আসলে অবৈধ সরকারের উদ্দেশ্য সাধনই হলো এ কমিশনের মূল লক্ষ্য।

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ খাত তৈরি পোশাক শিল্পে অব্যাহতভাবে গোলযোগ চলে আসছে এবং তা উপশমের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

আজ মিরপুরে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।

হাসনার উদ্যোগে আমার মার্কিন শুভেচ্ছাকামীদের চাপে শেষ পর্যন্ত আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে আমার ওপর সরকারের নির্যাতনের একটি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন দূতাবাস এ নিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য খোকনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এসব খবর আপডেট করার জন্য খোকন হাসপাতালে এসেছিল আমার সাথে দেখা করতে।

বিচারপতি খায়রুল হক প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাসনকালকে অবৈধ ঘোষণা করে। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর ওপর যে রায় দিয়েছেন তা বৈশিষ্ট্যগত ও বিষয়ভিত্তির দিক দিয়ে ছিল পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আওয়ামী লীগের গোঁড়া সমর্থক হিসেবে এ বিচারপতি সবার কাছে পরিচিত ও চিহ্নিত।

পরবর্তীতে একই বিচারক সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছেন।

আধুনিক সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক বিরোধগুলো নিষ্পত্তি করা, সমাজের বিভিন্ন শক্তি ও স্বার্থসমূহের মধ্যে এবং প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গসমূহের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানের পরিবেশ অক্ষুণœ রাখা।
সংঘর্ষ এবং সংঘাত এড়ানোর জন্য একটি চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স রক্ষা করা।

দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ইদানিং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তার ঠিক উল্টো পথ অনুসরণ করে চলেছে। সমাজে শান্তির পরিবর্তে অশান্তি এবং সংঘাত সৃষ্টির সুযোগ আরো বৃদ্ধি করে দিয়েছে।

পঞ্চম এবং ত্রয়োদশ সংশোধনীর মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ মীমাংসিত বিষয়সমূহে নিজেদের সাংবিধানিক এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে সেগুলো নতুন করে উন্মোচিত করে দেওয়া হয়েছে। এই দুটি বিষয় ছিল জাতীয় পর্যায়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়।

কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায়ের মাধ্যমে দেশে শান্তি এবং সমাঝোতার পরিবেশ শুধু নষ্টই করে দেওয়া হয়নি বরং জাতীয় রাজনীতিতে সংঘাত, সংঘর্ষ, অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। নিজেদের এখতিয়ার বহির্ভূত এই ক্ষমতা প্রয়োগ জাতির জন্য এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এই অমার্জনীয় ভুল বা অপরাধের জন্য কারো কোনোদিন শাস্তি হবে কি না জানি না।

বুধবার ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৭৯
এই জেলখানার ধারণ ক্ষমতা ২৭৪০ জনের তুলনায় বর্তমানে আটক রয়েছে ৮৭০০ জন। এদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত ২৫০০, বাকি ৬২০০ জন হলো বিচারাধীন হাজতি। তারা যে মানবেতর জীবনযাপন করে তা বর্ণনা করার ভাষা আমার জানা নেই। এদের মধ্যে বিরাট সংখ্যার লোক নির্দোষ, কিন্তু কেবলমাত্র অর্থের অভাবে তারা জামিন পাচ্ছে না কিংবা আপিলের শুনানি করাতে পারছে না।

আমার লেখার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। লেখায় এবং প্রার্থনায় আমার সময়ের বহুল্যাংশ কেটে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৮০
একেবারে প্রথম থেকেই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মর্যাদাহানির লক্ষ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের চরিত্রহননের প্রক্রিয়া চলে আসছে এবং এ কাজে তারা জরুরি আইনের আশ্রয় নিয়ে প্রচার মাধ্যমকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। উপরন্তু সংবাদপত্রগুলোও স্ক্যান্ডাল নিয়ে খবর প্রকাশ করতে পছন্দ করে। বিশেষ করে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত ব্যক্তিরা জেলখানায় থাকলে সংবাদপত্রগুলোও ধরে নেয় যে, কারাভ্যন্তরে থেকে তারা পত্রিকার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন না, সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে তারা যা খুশি তা লিখতে পারে।

সামরিক সরকার সমর্থিত জরুরি আইনের সমর্থনকারী পত্রিকা ডেইলি স্টার আজ প্রথম পৃষ্ঠায় চার কলামব্যাপী এক সংবাদে বলেছে যে, আমি আইনমন্ত্রী থাকাকালে নিয়ম শিথিল করে জনৈক নাঈম মাহতাবকে ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণে সাহায্য করার লক্ষ্যে আমার মতামত দিয়েছি। প্রথমত, ওই নামের তথ্যের সঙ্গে উক্ত স্ক্যান্ডাল সম্পর্কিত হেডলাইনের কোনো সামঞ্জস্যতাই নেই। এতে শুধু একবার বলা হয়েছে যে, আইন মন্ত্রণালয় তার রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে সচিব, প্রতিমন্ত্রী ও আমার-সহ উচ্চ পর্যায়ের অফিসারদের মন্তব্যের ভিত্তিতে উক্ত মতামত দিয়েছে। কোন আইন শিথিল করা হয়েছে এ ব্যাপারে রিপোর্টে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের কী ভূমিকা থাকতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

এই অবৈধ সরকারের শাসনামলে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাসহ কোনো রাজনীতিবিদকেই এ ধরনের বিকৃত সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে চরিত্রহননের জঘন্য প্রক্রিয়া থেকে রেহাই দেওয়া হয়নি।

হার্ভার্ডের ডক্টরেট ও সাবেক বিদ্যুৎ সচিব মেধাবী অফিসার তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনীত বার্জ মাউন্ডেট পাওয়ার প্ল্যান্ট মামলায় সহঅভিযুক্ত হিসেবে আদালতে আত্মসমর্পণের পর এ জেলখানায় স্থানান্তরিত হয়েছেন। তিনি হাসনার ছোট একমাত্র বোন আসমার স্বামী, আমার ভায়রা ভাই।

শুক্রবার ১৮ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৮১
আমার সাজাপ্রাপ্ত সহকারী ও সহযোগী জিয়াউদ্দিন আমার সবরকম যতœ নেয়। প্রতিদিন দু’বার মেঝে পরিষ্কার করে, ঘর গুছিয়ে রাখে, বইয়ের ময়লা ঝাড় দেয়। ফাইল-র‌্যাক-টেবিল-ছাদসহ আমার দ্বিতীয় চৌকির ওপর স্তূপীকৃত জিনিসপত্র পরিষ্কার করে সুবিন্যস্ত রাখে। বিছানা পাতা এবং মশারী টাঙিয়ে দেওয়া ছাড়াও সে ধুয়ে রাখে আমার থালাবাসন, কাপড়চোপড় শুকিয়ে ইস্ত্রি করে রাখে। ঘরটি ছোট এবং কাজকর্মও খুব একটা জটিল নয়, কিন্তু সব কাজ সে সারে সন্তর্পণে যতেœর সঙ্গে। জেলের ভেতরে ও বাইরের সব মজার মজার ঘটনা সম্পর্কে প্রতিদিন সে আমাকে অবহিত করে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, ভবিষ্যতে জেল থেকে বের হওয়ার পর আমরা অবশ্যই একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবো।

আমি মুক্তি পাওয়ার প্রায় দু’বছর পর সংবাদপত্রে বের হওয়া এক খবরে জানতে পারি যে, ২০১১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সরকার বিশেষ বিবেচনায় জিয়াউদ্দিনকে মুক্তি দিয়েছে আমার কাছে ওর ঠিকানা ছিল। আমি নান্দাইল উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে ফোন করে জিয়াউদ্দিনকে খুঁজে বের কর। বললাম ও জানালাম যে, আমি ওর সঙ্গে কথা বলতে চাই। মহিলা অফিসার এরপর অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে ওকে খুঁজে বের করে দিলেন এবং তার সঙ্গে আমার টেলিফোনে আলাপের ব্যবস্থা করলেন। ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল কিশোরগঞ্জে এক রাজনৈতিক সভায় যাওয়ার প্রাক্কালে আমি জিয়াউদ্দিনকে কিশোরগঞ্জে আমার সঙ্গে দেখা করতে বললাম। মঞ্চে বসা থেকে আমি শ্রোতাদের মধ্যে জিয়াউদ্দিনকে দেখতে পেলাম। ওকে এতদিন পরে দেখতে পেয়ে আমার খুব ভালো লাগলো। ওকে এখন আগের মতোই ভদ্র ও শান্তশিষ্ট লাগলো। আমি তাকে ডেকে তার ও তার পরিবারের খোঁজখবর নিলাম। সে আমাকে বললো, সে জেলে থাকার সময় জীবনধারণের জন্য তার স্ত্রী সব সহায়সম্বল বিক্রি করে ফেলেছে ও তার মেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. পাস করেছে। আমি বুঝলাম যে, পুরোপুরি সুস্থির হতে তার অনেক সময় লেগে যাবে। আমি ঢাকায় আমার সঙ্গে তাকে দেখা করতে বললে, সে পরে আমার সঙ্গে দেখা করে। আমি তাকে বিক্রি করা জমির অন্তত একাংশ পুনরুদ্ধার করে জীবন শুরু করার জন্য এক লাখ টাকা দিলাম। আনন্দে জিয়াউদ্দিনের চোখে পানি এসে গেল। ওকে সাহায্য করতে পেরে আমি নিজেকে খুব পরিতৃপ্ত বোধ করলাম।

শনিবার ১৯ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৮২
এই সরকার হলো অবয়ববিহীন, দিক-ঠিকানাবিহীন, কা-জ্ঞানহীন, নেতৃত্বহীন, বুদ্ধিবিবেচনাবিহীন অথর্ব, অদক্ষ একটি সরকার। এ সরকারের শেষ পরিণতি কী হবে তা নিয়ে চিন্তা করাও মুশকিল।

হাসনা ই-মেইলে ডা. হেলালকে জানিয়েছে যে, আনা-র পরীক্ষা চলছে। ওয়াশিংটনে গুরুত্বপূর্ণ অনেক লোকজনের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। সবাই তাকে জিজ্ঞেস করেছে একই প্রশ্ন, মওদুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কেন? আমাকে যারা ভালো করে চেনে ও জানে এ খবরে তারা সবাই বিস্মিত ও মর্মাহত।

রবিবার ২০ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৮৩
সবরকম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এবং সেনাবাহিনী কাজে লাগানোর পরও খাবার জিনিসের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। বাজার অর্থনীতিতে মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাহিনীবিশেষের তৎপরতা বিশেষ কোনো কাজে আসে না। মজুত ও সরবরাহ কমে গেলে বাজার বিক্রেতাদের। দখলে চলে যায় ও তারা তখন মূল্য নিয়ে কারসাজি করে। কিন্তু সরকার আগে থেকেই অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য আমদানি করে বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে আগামভাবে বিশ্ববাজার থেকে খাদ্য কিনে প্রয়োজনীয় পরিমাণে মজুত ও ক্রেতাদের কাছে তা। সরবরাহের নিশ্চয়তা বিধান করা যায়নি। খাবারের গুদামে যে মজুত নিঃশেষ হয়ে আসছে সরকার তা খেয়ালই করেনি। তাদের ধারণা, বন্দুকের নল দিয়েই সব সমস্যার সমাধান করা যায়। অথচ আমরা সবাই জানি তা কখনো যায় না।

সোমবার ২১ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৮৪
আত্মস্বয়ম্ভরতার ট্রেনিং হিসেবে আমান সপ্তাহে একদিন অক্সফোর্ডের বিশাল গ্রোসারী স্টোর ‘হোল ফুডস’-এ সেলসবয় হিসেবে কাজ করতে যায়। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে সে কমিউনিটি কলেজে স্পেশাল এডুকেশনে ক্লাশ নেয়। ঢাকায় ছুটিতে এলেও আমান মাঝে মাঝে ব্র্যাক-এ তার দৈনন্দিক কাজকর্ম করতে পছন্দ করে। ফজলে হাসান আবেদ তাকে এ সুযোগ করে দিয়ে আমাদেরকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন।

আমান এই ভেবে গর্ব অনুভব করে যে, সে কিছু টাকা রোজগার করছে। এতে তার আত্মবিশ্বাসও দিনে দিনে বাড়ছে। তার ক্ষুদ্র জমানো টাকায় সে কাউকে হাতও লাগাতে দেয় না। তার ধারণা, নিজের সন্তানদের জন্য সে এ টাকা সঞ্চয় করছে। তার ক্ষুদ্র পৃথিবী নিঃসন্দেহে প্রেমময়, পাপহীন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত।

(চলবে..)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর