× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৫৯) / ‘দুই ভায়রাকে একসঙ্গে জেলে দেখে হাসাহাসি করেছে ওরা’

বই থেকে নেয়া

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ মে ২০২১, বুধবার

বৃহস্পতিবার ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ দিন ২৯৪
অভিনীত হলো আরেকটি নতুন নাটক। আমি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। এমন সময় আদেশ হলো যে, আমাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বদলি করা হয়েছে। কোনো লিখিত নোটিশ নেই, কোনো কারণও দর্শানো হয়নি। শুধু জানানো হলো যে, উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এবং জেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অসহায়। আমি এজন্য মর্মাহত হইনি যে, এটা হলো আমাকে আরেক ধরনের নাজেহাল করার প্রক্রিয়া বা আমাকে অন্য জেলে বদলি করা হয়েছে- কিন্তু এজন্য আমি মর্মাহত হলাম যে, শাস্তি দেওয়ার জন্য আমাকে নিচে নামিয়ে পাঠানো হচ্ছে একটি জেলা কারাগারে, যেখানে এখানকার কোনো সুবিধাই আমার জন্য থাকবে না। আমার জন্য এটা হবে এক ধরনের বেসামাল ব্যাপার- পড়াশুনা থেকে শুরু করে চিকিৎসা পাওয়ার মতো স্থায়ী কোনো নিশ্চয়তা আর থাকবে না আমার জন্য। আমি যখন হাসপাতালে যাওয়ার জন্য জেলগেটে হাজির হয়েছি, ততক্ষণে চিকিৎসার আদেশ থাকা সত্ত্বেও আমাকে না নিয়েই অন্য বন্দিদের তুলে প্রিজন ভ্যান চলে গেছে।
জেলের একজন বন্দি হিসেবে এ নিয়ে লড়াই করার ক্ষমতা আমার ছিল না।
কাজেই অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ মনে হতাশার সাথে আমাকে তা মেনে নিতে হলো। তবে আমি হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্টটি রাখার জন্য অনুরোধ করলাম- কারণ আমার স্বাস্থ্যের জন্য তা ছিল জরুরি। আজ আমার খুব দরকারি কতকগুলো রক্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত জেল সুপারের সঙ্গে সমঝোতা হলো যে, আমি হাসপাতাল থেকে ফেরার পর অপরাহ্নে আমাকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। বিশেষ ব্যবস্থাধীনে আমাকে পৃথক একটি প্রিজন ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আয়োজন করা হলো। আমার বদলির খবর পেয়ে  খোকন আমার সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে ছুটে এলো। ওয়াশিংটনে এ খবর শুনে হাসনাও টেলিফোনে স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করলো। বিনা কারণে আমাকে এ ধরনের শাস্তির প্রতিবাদ জানিয়ে হাসনা ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গেও যোগাযোগ করলো আমার সর্বশেষ খবর জানার জন্য। খোকনকেও সে মোবাইলে ফোন করলো। সে জানতো না যে, খোকন তখন হাসপাতালে বসে আছে আমার সামনেই। তাকে বলা হলো যে, আমি তখন পর্যন্ত ঢাকায় কিন্তু কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের কাজ শেষ হলেই আমাকে বিকেলবেলা নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। হাসনা জানতো যে, নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হলে আমার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবার আরো আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমি প্রায় ১০ পাউন্ড ওজন হারিয়েছি। ও এতো কাছে থাকতেও আমি তার সঙ্গে কথা বলার ভরসা পেলাম না। কারণ কর্তৃপক্ষ তা জানতে পারলে হয়তো আমাকে ঢাকার অনল নারায়ণগঞ্জে বদলি না করে সূদর উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর জেলে পাঠিয়ে পারে। তাই এই মহাসুযোগের লোভ সংবরণ করতে হলো।
হাসপাতাল থেকে ফিরে আমি যখন নারায়ণগঞ্জে যাবার জন্য জিনিসপত্র গুছিয়ে মানসিকভাবে তৈরি হয়েছি, জেলগেটে আমাকে জানানো হলো যে, আমার বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটা আমার প্রতি আল্লাহ্ তা’আলার বিশেষ করুণা ও রহমত। কে আমাকে বদলির আদেশ দিলো, আর কার চাপে কীভাবে আবার তা প্রত্যাহার করা হলো, আমি তার কিছুই বুঝতে পারলাম না। নিশ্চয়ই হাসনাই এটি করিয়েছে। আমি এই ভেবে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালাম যে, ঢাকায় বসে কেউ যা করতে পারেনি, সূদুর আমেরিকায় বসে হাসনার পক্ষে তা করা সম্ভব হয়েছে। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম যে, স্বরাষ্ট্র সচিবের মতো চমৎকার মানুষটির জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে। এক সময় আমি যখন সরকারে আমার নির্বাচনী এলাকা সেনবাগে, তিনি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সেখান থেকে সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আমি প্রথমে সংসদ সদস্য ও পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হয়েছিলাম।

শুক্রবার ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ দিন ২৯৫
নিষেধাজ্ঞা এবং অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সব রকমের সংবাদ কর্তৃপক্ষের সন্তোষানুযায়ী সবসময় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। দিনে দিনে বিভিন্ন সংবাদপত্রে এখন সরকারের নানা ধরনের কার্যকলাপ নিয়ে সত্যিকারের চিত্রসম্বলিত খবর কাগজে প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। এমনকি ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও আরো কয়েকটি সরকারের চাটুকার পত্রিকাও নিজ নিজ প্রচারসংখ্যা ধরে রাখার স্বার্থে এসব খবর বের করছে। দৈনিক ইত্তেফাক, জনকণ্ঠ, যুগান্তর ও সমকাল এখনো বর্তমান সরকারকে খুশি রাখছে, তবে কিছু কিছু পত্রিকা যেমন- মানবজমিন, নয়াদিগন্ত, আমার দেশ, যায়যায়দিন ও নিউএজ এখন আগের চাইতে বেশি প্রতিবাদমুখর।

শনিবার ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ দিন ২৯৬
যে কোনো পরিস্থিতিতে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এটাই হলো একমাত্র জাতীয়তাবাদী শক্তি, যারা জাতির সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে। যদিও দলটিতে ভেতর থেকে অনেক ধরনের সংশোধনী ও যুগান্তকারী পরিবর্তন দরকার, কিন্তু দল। হিসেবে এর ঐক্যবদ্ধ থাকার বিষয়টি জরুরি। বর্তমান সরকার মান্নান ভূঁইয়াকে প্রভাবিত করে বিএনপিকে সংস্কারের নাম করে ভেঙে দেওয়ার বা দুর্বল করে ফেলার যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, সে চেষ্টা শেষাবধি সফল হবে না। বড় বড় সব কয়জন নেতা জেলে থাকলেও দলকে যে টিকিয়ে রাখতে হবে। লোকজন এটা ভালো করেই জানেন যে, দুর্নীতি দমনে প্রহসনমূলক বিচারের যে লীলাখেলা চলছে তা কেবল বিএনপিকে দুর্বল এবং ধ্বংস করে ফেলারই একটা প্রচেষ্টামাত্র, তবে নির্বাচন যখনই অনুষ্ঠিত হোক না কেন বিএনপি কখনোই আওয়ামী লীগের পেছনে পড়ে থাকবে না।
অটোয়াভিত্তিক কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির একজন নির্বাহী কর্মকর্তা বাবুর স্ত্রী বেবী, আসমা ও অন্যান্যকে সঙ্গে নিয়ে জেলে এসেছিল আমার ও তৌফিকের সঙ্গে দেখা করতে। তারা সবাই ছিল স্বভাবতই বিষণ্ন। তবে দুই ভায়রা ভাইকে একসঙ্গে জেলে থাকতে দেখে হাসাহাসিও করেছে প্রচুর।

রবিবার ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ দিন ২৯৭
ভীতি, আতঙ্ক এবং হুমকিকে কোনোদিন বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। একই কারণে দেশে ১৯৭৪ সালে শেষ পর্যন্ত এক মহাদুর্ভিক্ষের মোকাবিলা করতে হয়েছিল। বর্তমান সরকার ও সেনাবাহিনী, বিডিআর, র‌্যাব, পুলিশ, টাস্কফোর্স, যৌথবাহিনী ইত্যাদি সবরকমের বাহিনী নিয়োগ করেছে, কিন্তু তারপরও ফলাফল হিসেবে লোকজন মরছে অনাহারে।
মোটা চালের দাম কেজি প্রতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকায় যা গত এক বছরে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। হাসপাতালে কর্মরত পুলিশ অফিসার আমাকে বলছিল যে, ভর্তুকি মূল্যে যে চাল দেওয়া হয় সেগুলো বালি ও কাঁকরে ভরা এবং খাবার অযোগ্য এবং পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য তাকে বাজার থেকে চাল কিনতে হয়। তার  মতো অন্যদের সঙ্গে তাকেও বাজার থেকে চড়ামূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে হয় এবং স্বল্প বেতনের পয়সায় সে আর কুলিয়ে উঠতে পারছে না। নিঃসন্দেহে সকল নির্দিষ্ট আয়ের লোকজন একই অবস্থার শিকার হচ্ছে।

সোমবার ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ দিন ২৯৮
এখনো আমি হাসপাতাল, জেলগেট কিংবা কোর্টে লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সীমিত সুযোগ পাই। আমি বুঝতে পারি লোকজনের মধ্যে এমন একটা মনোভাব বিরাজ করছে যে, হরতাল, ধর্মঘট, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি ইত্যাদি থাকা সত্ত্বেও ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারির আগে মোটা চালের দাম ছিল কেজি প্রতি ১৮ টাকা, আটা ১৬ টাকা, ভোজ্যতেল ৪০ টাকা। উপরন্তু দেশে ছিল গণতন্ত্র। লোকজনের কথা বলার এবং প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন চলছে স্বৈরতন্ত্র, নেই মানবাধিকার, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। কাজেই সাধারণ মানুষের ধারণা, জরুরি অবস্থা জারির আগের সময়টা ছিল এখনকার চাইতে অনেক ভালো।

মঙ্গলবার ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ দিন ২৯৯
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজম জে চৌধুরীর দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় আদালতে গ-গোল করা হয়েছে। বিচারক পক্ষপাতিত্ব আচরণ করছেন এই অভিযোগে শেখ হাসিনার আইনজীবীরা হৈচৈ শুরু করলে বিচারক শেষ পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখতে বাধ্য হন।
সফররত মার্কিন উপমন্ত্রী ডোলান্ড ক্যাম্প জরুরি আইন প্রত্যাহার ও নির্বাচন দাবি করেছেন। কোনো সফররত বিদেশি সরকারি অতিথির এ ধরনের বিবৃতির কোনো গুরুত্ব নেই। এসব বিবৃতির মধ্য দিয়ে তারা দেখাতে চান যে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষে। আসলে তারা গণতন্ত্রের জন্য পরোয়া করে না। পক্ষান্তরে, বাস্তবে তারা সবসময় ক্ষমতাসীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেন। ঠিক যেমনটি করা হচ্ছে বাংলাদেশে। সেই সরকার নির্বাচিত কি অনির্বাচিত এ নিয়ে তাদের মাথাব্যথা কম।
আমার একজন বাল্যবন্ধু ও কমিউনিস্ট নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক পরলোকগমন করেছেন। নিজ রাজনৈতিক দর্শনের প্রতি তার ত্যাগ ও আনুগত্যের জন্য আমি তাকে শ্রদ্ধা করি।

বুধবার ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ দিন ৩০০
শেখ হাসিনার চাঁদাবাজি মামলায় আজ গতকালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এটা অত্যন্ত শুভলক্ষণ যে, শেখ হাসিনার আইনজীবীরা ছিলেন অত্যন্ত বলিষ্ঠ এবং উচ্চকণ্ঠ। ক্যাঙ্গারু কোর্টে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কোনো মানে হয় না। মামলাটি আবারও মুলতবি করা হয়েছে।
আজ আমার বইটি লেখা শেষ হলো। হাতের লেখায় ৭৮০ পৃষ্ঠার পাণ্ডুলিপি। তবে অনেক কাজ এখনো বাকি। এতে এখন প্রচুর সংশোধন, পরিবর্তন, সংযোজন, তথ্যের বাছাই ও পুনর্বাছাই, পুনরাবৃত্তির আশঙ্কারোধ ইত্যাদি করতে হবে। সত্যিকারের কঠিন ও শ্রমসাধ্য কাজগুলো এখনো সামনে। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় বলে এতে আরো প্রায় দু’বছর সময় লেগে যেতে পারে। টাইপ করা পাণ্ডুলিপি পরপর কয়েকদফা সংশোধনীর পর এটা পেশাদার এডিটিং-এর জন্য পাঠাতে হবে। তারপর প্রকাশক চূড়ান্ত মুদ্রণের জন্য প্রেসে পাঠাবার আগে আমি নিজে প্রুফ দেখে দেবো। ইংরেজিতে লেখা বইটির প্রস্তাবিত নাম হলো, ইধহমষধফবংয: অ ঝঃঁফু ড়ভ ঃযব উবসড়পৎধঃরপ জবমরসবং। কিন্তু পরে এটি বদল করাও হতে পারে। আমি আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাকে বইটি শেষ এর মতো ধৈর্য্য, ঐকান্তিকতা, সময় ও তৌফিক দান করেন।

বৃহস্পতিবার ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ দিন ৩০১
হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি জনাব শাহ আবু নাঈম এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, জরুরি অর্ডিন্যান্স এবং ধারাসমূহ সংবিধানের ঊর্ধ্বে নয় এবং সংবিধান সংরক্ষণ ও সুরক্ষার দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের ওপরই বর্তায়। তিনি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সকল জরুরি বিধানকে আলট্রা ভায়ার্স হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো এই যে, আমি নিশ্চিত, আপিল বিভাগে গেলে পক্ষপাতদুষ্ট প্রধান বিচারপতি এর কার্যকারিতা স্থগিত করে দেবেন। ইতিমধ্যেই তিনি বহুবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মান ও মহিমা পদদলিত করে এমনসব পদক্ষেপ নিয়েছেন যা জনগণের অনেক বেশি দুর্ভোগের কারণ হয়েছে।
দুই মাসেরও বেশি বিলম্ব করার পর অবশেষে আমার ২০০৭-২০০৮ সালের আয়কর বিবরণী গৃহীত হয়েছে, যার জন্য আমাকে আয়কর দিতে হবে ২৪ লাখ টাকার বেশি।
বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার জন্য আমাকে নেওয়া হয়েছিল পিজি হাসপাতালে। ওজন আমার এখনো কমছে।

শুক্রবার ৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ দিন ৩০২
হাইকোর্ট ডিভিশন থেকে জামিন মঞ্জুর হবার পর বিএনপি নেতা ব্রিগেডিয়ার (অব.) হান্নান শাহ্কে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুক্তি পাবার পরপর আবার গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের কর্তৃত্বের ওপর এভাবে অশ্রদ্ধা দেখানো একটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, মান্নান ভূঁইয়া, হাফিজউদ্দিন ও সাইফুর রহমানকে স্ট্যান্ডিং কমিটির তথাকথিত ২০০৭ সালের ২৯শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত তাদের বৈঠক বেআইনি বিধায় বাতিল ঘোষণা করে মূলধারা বিএনপিতে ফিরে আসার সুযোগ গ্রহণ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ঠিক কাজই করেছেন।

(চলবে..)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর