× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সহজে কর আদায় করার একমাত্র পথ টেলিযোগাযোগ

তথ্য প্রযুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার
৩০ মে ২০২১, রবিবার

দেশে সহজে কর আদায় করার একমাত্র পথ টেলিযোগাযোগ খাত। প্রতিবছর বাজেটের আগে এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট  ব্যবসায়ি ও বিনিয়োগকারিদের মধ্যে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা দেকা যায়। এর স্থায়ী সমাদান হওয়া জরুরি। শনিবার রাতে একটি অনলাইন টেলিভিশনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আসন্ন বাজেটে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতে আমাদের প্রত্যাশা শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল আলোচনা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির  ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত মিত্র বলেন, সহজে কর আদায় করার একমাত্র উপায় টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতে। হতে পারে এ কারণেই এ সেবা থেকে কর বেশি আদায় করা হয়। আমি সরকারি চাকরি করলেও দিনশেষে আমি একজন গ্রাহক বা ভোক্তা।
আমাকেও কর দিতে হয়। আমার কাছে মনে হয়, যারা কর নির্ধারণ করেন তাদের কাছে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাত এর গুরুত্ব শুধু কর আদায় না হয়ে সামগ্রিক দিক বিবেচনায় নেয়া উচিত। এসকল সেবার আরো বিকশিত হবার সুযোগ রয়েছে। যদি কর গ্রাহক ও ব্যবসা বান্ধব হয় তাহলে আরো কর আদায় করা সম্ভব। সবদিক বিবেচনা করে আমিও বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় নেয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আলোচনায় অংশ নিয়ে মোবাইল টেলিকম অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এস এম ফরহাদ বলেন, টেলিযোগাযোগ সেবা খাত হলেও এ সেবার জন্য কর দিতে হয় তামাকপণ্যের সমান। গ্রাহক পর্যায়ে ৩৩.২৫ শতাংশ, সংযুক্তির ক্ষেত্রে সিমট্যাক্স ২০০টাকা, কর্পোরেট কর ৪৫ শতাংশ। বিপুল পরিমাণ কর থাকার কারণে গ্রাহকরা যেমন একদিকে অতিরিক্ত সেবা নিতে পারছে না, আবার নতুন সংযোগ দেয়া যাচ্ছে না অতিরিক্ত সিমট্যাক্সের কারণে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা উচ্চ কর্পোরেট ট্যাক্স এর কারণে বিমুখ হয়ে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে আগামী দিনে ফাইভ-জি বাস্তবায়ন করতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারকে সহযোগিতা করতে আসন্ন বাজেটে ট্যাক্স কমানোর কোন বিকল্প নাই। আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সম্প্রসারণ অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু বাস্তবতা হলো ব্রডব্যান্ডের পেনিট্রেশন অত্যন্ত কম। প্রান্তিক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড পৌঁছাতে হলে গ্রাহকের সংযোগ প্রাপ্তিতে সকল ধরনের ডিভাইসের উপর ট্যাক্স কমাতে হবে। ক্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজির হোসাইন বলেন গ্রাহকরা দীর্ঘদিন যাবত মানসম্পন্ন সেবা পাচ্ছে না। তাই সবার আগে মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সকল প্রতিবন্ধকতা তাই দূর করতে হবে। দৈনিক মানবজমিনের সিনিয়র রিপোর্টার কাজী সোহাগ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজেট এলেই কেবল এসব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। সারাবছর কর নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানে আলোচনা হয় না কেন। সকল স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিয়েই একটি জনবান্ধব বাজেট তৈরি করা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করি। সবশেষে সঞ্চালক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রত্যাশা রেখে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে জন্য সরকার নিশ্চয়ই আসন্ন বাজেটে গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে একটি জনবান্ধব বাজেট প্রদান করবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর