রবিবার ১৬ মার্চ ২০০৮ দিন ৩৩৯হঠাৎ করেই আমার লেখার জন্য সাদা কাগজ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো কারণ, যুক্তি কিংবা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি এর। জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আমার জমা রাখা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা নিয়ে জিয়াউদ্দিন নিয়মিতভাবে তা জেল স্টোর থেকে নিয়ে আসতো। সে জানালো, আমাকে আর তা দেওয়া হবে না। আমার বেলায়ই এমনটি ঘটলে অন্যান্যের ব্যাপারে কি ঘটছে? তারা কি বন্দিদের লেখাপড়ার কোনো সুযোগ দিতে চান না? আমাদের বলা হয় ভিআইপি বন্দি। অথচ কেন এমনটি বলা হয় তা ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না। হয়তো ভিআইপি হওয়াতেই আমাদের ওপর এমন ধরনের আরো অপমান ও অপদস্থতা চালানো হয়।
নির্যাতন, অমানবিক ও বেআইনি কয়েকটি আচরণ এখানে লিপিবদ্ধ করা অত্যাবশ্যক।
১. দর্শনার্থীরা এখানে অসহায়। নারী-পুরুষ, যুবা-বৃদ্ধ-শিশু-পঙ্গু নির্বিশেষে সকলকে কারো সাথে দেখা করার আগে রোদে-ঝড়ে-বৃষ্টিতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা, কখনো বা আরো বেশি সময় জেলগেটের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়।
২. জেলগেটে অত্যন্ত নিম্নমানের উন্মুক্ত স্থানে অন্যান্য বন্দিদের পাশে রেখে কোনো প্রাইভেসি ছাড়া দশনার্থীদের সাথে দেখা করতে হয়।
জায়গা ও চেয়ারের অভাব প্রকট। নির্ধারিত বিশ মিনিট সময়ে অধিকাংশ দর্শনার্থী দাঁড়িয়েই কথাবার্তা বলে। প্রয়োজনীয় বাক্যালাপের জন্য পর্যাপ্ত সময় কিংবা উপযুক্ত পরিবেশ বা প্রাইভেসি কোনোটাই নেই। বন্দী কিংবা দর্শনার্থীরা জরুরি কোনো তথ্য টুকে রাখারও সুযোগ পায় না। গোয়েন্দারা চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নজরদারি করে।
৩. আগমন এবং নির্গমন উভয় সময়ে দর্শনার্থীদের একবার করে দেহতল্লাশি করা হয়। নগদ টাকা বা মোবাইল ফোনের মতো ব্যক্তিগত সম্পদ প্রায়ই রেখে দেওয়া হয় এবং বেশির ভাগ সময় আর ফেরত দেওয়া হয় না।
৪. কোনো কারণ না দর্শিয়েই আইনজীবীদের আসা-যাওয়ার ওপর ঘন ঘন নিষেধাজ্ঞা আসে। ২০০৭ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর দুই মাস এবং ২ ডিসেম্বর থেকে আজ তিন মাসের উপর পরামর্শের জন্য কোনো আইনজীবীকে আমার কাছে আসতে দেওয়া হয়নি। অন্য দর্শনার্থীদের মতো একজন আাইনজীবীকেও জেলগেটের বাইরে ২-৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। সেই জন্য অনেকে আসতেও চায় না। মেডিক্যাল চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার ওপর ঘন ঘন নিষেধাজ্ঞা জাবির ফলে আমার স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক হুমকি আসছে। জেলের অভ্যন্তরে চিকিৎসা অত্যন্ত নিম্নমানের। জরুরি প্রয়োজনেও বেশির ভাগ সময়েই ডাক্তারের দেখা মেলে না।
৫. কোনো কারণ না দেখিয়ে শাস্তিস্বরূপ আমাকে নারায়ণগঞ্জ জেলে স্থানান্তরিত করার প্রচেষ্টা।
৬. ঘরগুলো থেকে আকস্মিকভাবে তাৎক্ষণিক আদেশের ভিত্তিতে সমস্ত পর্দা। সরিয়ে প্রাইভেসির ব্যাঘাত সৃষ্টি করা।
৭. রাতে ঘুমানোর সময় ঘরে বাতি জ্বালিয়ে রাখা।
৮. কিচেন বা চৌকি বন্ধ করে রাতের খাবার দিনে সরবরাহ করা। সূর্যাস্তের আগে রাতের খাবার দেওয়া হয় বলে তা ঠাণ্ডা ও গন্ধযুক্ত হয়ে যায় এবং পেট-পীড়ার আশঙ্কা থাকে।
৯. জেলখানা থেকে বাইরে যাওয়া এবং বাইরে থেকে ভেতরে আসার সময় অপমানজনকভাবে দেহতল্লাশি করা।
সোমবার ১৭ মার্চ ২০০৮ দিন ৩৪০এখন আর নীরব দুর্ভিক্ষ নয়। দুর্ভিক্ষের সরব উপস্থিতিই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু জবাবদিহিতাবিহীন সরকারের এতে কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। কঠোর নিষেধাজ্ঞা, সেন্সরশিপ ও টেলিফোনে হুমকি সত্ত্বেও সংবাদপত্রগুলো কোনো কোনো খবর প্রকাশ করছে। ফলে লাইনের মধ্যে লাইন পড়লে জনগণের যন্ত্রণার। একটা স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়।
সংবাদপত্রে প্রত্যেক দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ও খুন-ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাসের কাহিনী ছাপা হচ্ছে। কিন্তু একদিকে আত্মবিশ্বাস ও অন্যদিকে অভিজ্ঞতার অভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার একেবারেই অসহায়।
মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০০৮ দিন ৩৪১আমার পা-জোড়া এখনো ফুলে আছে। কিডনী পরীক্ষা করে কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি। পিজি হাসপাতালের ডাক্তাররা বলছে দীর্ঘসময় বসে থেকে লিখতে গিয়েই। এমনটি হতে পারে।
প্রধান বিচারপতি জয় নিষ্ঠার প্রশাসনের ওপর এবার হস্তক্ষেপের একটি না দেখিয়েছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অন্যতম প্রগতির প্রবক্তা, ইতিমধ্যেই জনগণের কাছে সমাদৃত হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি শাহ আবু নাঈম এর আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা এবং ১৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতার ওপর অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি চলাকালে সমস্ত অতীত ঐতিহ্য ভেঙে মামলা দুটি সপ্তাহের মাঝখানে হঠাৎ করেই অন্য আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই স্থানান্তরকরণ কেন করা হয়েছে বার ও বেঞ্চের সকলেই তা সহজেই অনুধাবন করতে পারেন।
বিচারপতি নাঈম একই ধারায় যেহেতু কতিপয় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, কাজেই উপরোক্ত দুটি মামলার রায় কী হতে পারে তা ছিল সহজেই অনুমেয়। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রভাবে প্রধান বিচারপতি সরকারের পক্ষাবলম্বন করে যে কাজ করলেন, সকল মহল থেকে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বার সভাপতি আমীরুল ইসলাম ও বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান রোকনুদ্দীন মাহমুদ এখন কী করছেন? বেঞ্চের ক্ষমতা হরণের অনুরূপ একটি মামলার প্রেক্ষিতে একবার ড. কামাল হোসেন উপরোক্ত দুই ভদ্রলোককে নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোদাসসির হোসেনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও ভাঙচুরে অংশ নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। সে সময় তারা বলেছিলেন যে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, আইনের শাসন ও সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা রক্ষার জন্যই এ আন্দোলনে তারা অংশ নিয়েছেন। সে সমস্ত আদর্শবাদ এখন কোথায় অন্তর্হিত হলো? এখন তারা প্রতিবাদ জানায় না কেন?
বুধবার ১৯ মার্চ ২০০৮ দিন ৩৪২ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে কেজি প্রতি ১৩০ টাকায় উঠেছে।
দুর্ভিক্ষের ধরন এবং প্রকারভেদ বিভিন্ন রকমের এবং মৃত্যুর সংখ্যাই এটা পরিনির্ণয়ের একমাত্র মাপকাঠি নয়। লক্ষ লক্ষ লোক এখন ভুগছে অপুষ্টি এবং ক্ষুধায় এবং তাদের মধ্যে বিশেষ স্থানে রয়েছে মহিলা ও শিশু। নীরবে তারা ঢলে পড়ছেন। আনিবার্য মৃত্যুর কবলে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর ক্রমাগত ঊর্ধ্বমূল্য এবং তা রোধে সরকারি ব্যর্থতার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা অব্যাহতভাবে বিক্ষোভ-সমাবেশ চলমান রেখেছে।
দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় আজ একটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। ওয়াশিংটনে আওয়ামী লীগ স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে শেখ হাসিনার মুক্তি ও জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের দাবিতে এক সমাবেশ করেছে। ছবিতে হাসনাকে এই সমাবেশ ও আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ভাষণ দিতে দেখা গেছে। সবগুলো পত্রিকায় দেশের ৭০০ জন সাংবাদিকের প্রকাশিত বিবৃতিতে খালেদা
জিয়ার মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০০৮ দিন ৩৪৩পত্রিকান্তরে সংবাদ বেরিয়েছে যে, এই সরকারের আমলে গত ১৪ মাসে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এবং বিভিন্ন পদে চাকরি গিয়েছে ৪০ লক্ষ লোকের। এর অর্ধেক সত্য হলেও অর্থনীতির অবস্থা যে কী ভয়াবহ তা সহজেই অনুমান করা যায়।
কিছুদিন আগে সেনাবাহিনী প্রধান খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে গিয়ে জনগণকে ভাতের বদলে আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। জনগণের মধ্যে তা হাসির উদ্রেক করেছে। কারণ, ভদ্রলোক হয়তো জানেনই না যে, দেশের বিদ্যমান সামাজিক, বৈজ্ঞানিক ও আবহাওয়াগত প্রেক্ষাপটে প্রধান খাদ্য হিসেবে আলু কখনো ভাতের বিকল্প হতে পারে না। কাজেই জনগণের কাছে এ বিবৃতি মনে হয়েছে অপমানজনক এবং ন্যায্যমূল্যে চাল সরবরাহে সরকারি ব্যর্থতা চাপা দেওয়ার একটা অপচেষ্টা মাত্র। অন্যদিকে এই বিবৃতির ফলে বাজারে আলুর দামের ওপরও প্রভাব পড়েছে। আলুর দাম দ্রুত বেড়ে উন্নীত হয়েছে কেজি প্রতি ২০ টাকায় এবং ক্রমশ আরো বাড়ছে।
শুক্রবার ২১ মার্চ ২০০৮ দিন ৩৪৪আজ মিলাদুন্নবী। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)-এর জন্ম ও মৃত্যুদিন। রাতে আমি সুরা ইয়াসীন পড়ে আল্লাহর করুণা কামনা করে ক্ষমা চেয়েছি। এ দিনে আল্লাহর জন্য রোজা রাখা হয়। আজ আমি রোজা রেখেছি।
এটা আশ্চর্যজনক যে, প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুজনেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে বিদেশীদের সমালোচনা করেছেন এবং প্রয়োজনবোধে এ ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার জন্য আইন প্রণয়নের হুমকি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতেরা বাংলাদেশে জরুরি ক্ষমতা আইন প্রত্যাহার ও দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়ার প্রেক্ষিতেই তারা এই মন্তব্য করেছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, বিদেশী যেসব শক্তি এতোদিন জরুরি ক্ষমতা আইন জারির জন্য সেনাপ্রধানের পৃষ্ঠপোষকতা করছিলেন এখন তারা আর এই সরকারের পেছনে নেই। নাকি কতিপয় কূটনীতিক এ নিয়ে কেবল ছলনা করছেন?
শনিবার ২২ মার্চ ২০০৮ দিন ৩৪৫আত্মীয়স্বজনের সাথে জেলগেটে দেখা হওয়ার সময় জেল সুপারকে জানালাম যে বিকেল ৫টায় আমার চৌকি বা কিচেন বন্ধ করে দেওয়ায় রাতে আমাকে ঠাণ্ডা খাবার খেতে হচ্ছে। আমার প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে জেল সুপার বললেন যে, এ ক্ষেত্রে তিনি অসহায়। তিনি বললেন, এসবে তার কোনো ভূমিকাই নেই এবং আসলে তিনি জানেন না জেল প্রশাসন চালাচ্ছেন কারা। তিনি এও ইঙ্গিত দিলেন যে, ফিল্ড ইন্টেলিজেন্সের সেনা অফিসারেরা এটা করছেন। আমার কাছে এ কোনো নতুন তথ্য নয়। বরং এ থেকে আমরা যা বলাবলি করছি তার সত্যতাই মেলে।
রবিবার ২৩ মার্চ ২০০৮ দিন ৩৪৬দেশের পরিস্থিতি যা-ই থাকুক না কেন, আদালতকে মানুষ মনে করে তাদের শেষ আশ্রয়স্থল যেখানে তারা নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করে সুবিচারের প্রত্যশা করে। তারা প্রত্যাশা করে যে, বিচারকেরা শক্তিশালীর বিপক্ষে এবং দুর্বলের পক্ষে কাজ করবেন, শক্তিমান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দুর্বল নাগরিকের অধিকার রক্ষা করবেন। বিগত ১৪ মাসে বিচার দর্শনের এই ভিত্তি সমূলে বিনাশ করে দেওয়া হয়েছে। বিচারিক আদালত এবং প্রধান বিচারপতি এম রুহুল আমীনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ এই ধ্বংসের জন্য সেনাপ্রধানের হাতের ক্রীড়নক হিসেবেই কাজ করেছেন মাত্র। জরুরি আইনের ছদ্মাবরণে ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাস, হুমকি ও ব্ল্যাকমেইলিং এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে সেনাপ্রধান নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে ।
বিচারপতি নাঈমের কাছ থেকে যেভাবে বিচারের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে ৯ মাস আগে বিচারপতি ওয়াহাব মিয়ার কাছ থেকে অবৈধ আটকাদেশের বিরুদ্ধে এবং বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর কাছ থেকে জরুরি অবস্থাধীনে জামিন দেওয়ার এখতিয়ার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল ।
সোমবার ২৪ মার্চ ২০০৮ দিন ৩৪৭জনগণ বসবাস করছে এক চরম দ্বৈত অবস্থায়। একদিকে সরকারের দেশ পরিচালনায় সৃষ্ট অরাজকতায় তারা ত্যক্ত বিরক্ত, অন্যদিকে তারা দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের পরিসীমার সেই পুরনো রাজনীতিতে ফিরে যেতেও দ্বিধাগ্রস্ত, যেখানে বছরের পর বছর চলেছে পারস্পরিক অসহনীয়তা, সংঘাত ও সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি। আরো দুঃখজনক হলো, এই অবস্থার নিরসনে বর্তমান সরকারও তার দিকনির্দেশনাবিহীন নেতৃত্ব দিয়ে জনগণের সামনে কোনো বিকল্প নিয়ে আসতে পারছে না।
সরকার একদিকে রাজনীতিবিদদের সাথে সমঝোতার কথা বললেও অন্যদিকে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার কাজ চলিয়ে যাচ্ছে পুরোদমে। জনগণ এখন অত্যন্ত শঙ্কিত এই ভেবে যে, এ থেকে সুফলদায়ক কোনো কিছু বের হয়ে আসবে না।
(চলবে..)