× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কলকাতা কথকতা /কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীদের বিদ্রোহের ডাকে শোলের গব্বর সিংয়ের আশ্রয় নিলেন মমতা

কলকাতা কথকতা

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
(২ বছর আগে) জুন ১, ২০২১, মঙ্গলবার, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

‘জো ডর গিয়া ও মর  গিয়া- সত্তরের দশকে ব্লকবাস্টার হিন্দি ছবি শোলেতে ডাকাত সর্দার গব্বর সিংয়ের এই  ডায়ালগটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। পাঁচ দশক পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের বিদ্রোহে শামিল হওয়ার ডাকে ফের এই ডায়ালগটি ব্যবহার করলেন। মমতা বললেন, ওরা ভয় দেখাবে, চমকাবে, প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে, কিন্তু মনে রাখতে হবে ওদের এই ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য হলো- 'জো ডর গিয়া ও মর গিয়া’। মমতা বলেন, বাংলা কোনোদিন চোখ রাঙানির কাছে মাথা নত করেনি, এবারও করবে না। তিনি বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের খোলসের বাইরে এসে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, সরকারি কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যের অধিকার সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকার তা বুলডোজ করে দিচ্ছে। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু কেন্দ্র-রাজ্য সুসম্পর্কের যে ভিত গড়ে দিয়েছিলেন, বর্তমান সরকার তা ভেঙে খান খান করে দিয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে ভারতীয় গণতন্ত্রের কাঠামোটাই ভেঙে পড়বে। এটা চলতে দেয়া যায় না।
মমতা বলেন, তিনি জানেন এই কথা বলার জন্যে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতি তার সরকারের ওপর নেমে আসতে পারে, কিন্তু তিনি ভয় পান না। বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের তিনি গর্জে ওঠার আহ্বান জানান। বলেন, স্বৈরাচারের একটা সীমা পরিসীমা থাকে। কিন্তু, বর্তমান সরকার সব গ-ি অতিক্রম করে গেছে। এখন সরব না হলে আরো কুঁকড়ে যেতে হবে। মরার আগে না মরার অঙ্গীকার আমাদের, আসুন একসঙ্গে এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করি।    

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ, মঙ্গলবার দিল্লিতে কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ, চার্জশিটের প্রস্তুতি   
মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর নিয়ে আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টার পদে বসলেও নিস্তার নেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের পার্সোনাল বিভাগের চিঠি এসে পৌঁছেছে যে নির্দেশ সোমবার দিল্লিতে তিনি কেন কাজে যোগ দেননি। চিঠিতে তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ ছাড়াও মঙ্গলবার আলাপন বাবুকে দিল্লিতে কাজে যোগ দিতো বলা হয়েছে। এছাড়াও দিল্লির খবর, মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। নিয়ম অনুযায়ী একজন আইএএস অফিসারকে তাঁর অবসর গ্রহণের চার বছরের মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা যায়। শাস্তি নূন্যতম কিংবা তাঁর পেনশন আটকে দেওয়ার মতো বড় ঘটনাতেও গড়াতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এক্ষেত্রে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে একটি রক্ষাকবচ আছে। তিনি সাফ জানাতে পারেন যে তাঁর নিয়োগকর্তা পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ছাড়েনি, তাই তিনি কাজে যোগ দিতে পারেননি। আর মেয়াদ ফুরোনোর পর অবসর নেয়া তার স্বাধীনতা। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কিছু করার থাকবে না বলেই অধিকাংশ ওয়াকিবহাল মহলের মত। সেক্ষেত্রে মমতা সরকারের ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতে পারে। তবে, একটা জিনিস নিশ্চিত, আলাপন মামলা এখন হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পথে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর