× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতীয় এজেন্সির হানিট্রাপ কি সুন্দরী বারবারা? মেহুল চোকসির স্ত্রীর চাঞ্চল্যকর দাবি

ভারত

বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(২ বছর আগে) জুন ৪, ২০২১, শুক্রবার, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

ঘাড় পর্যন্ত লতিয়ে পড়া সোনালি চুল, যা মাঝে মাঝেই কৃষ্ণবর্ণ হয়ে যেত। বয়স ৩০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। লো কাট জামায় স্পষ্ট ইঙ্গিত বক্ষ বিভাজিকার। ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স। পানপাতার মত মুখ। আকর্ষণীয় যৌন আবেদন। নিজে ঝড়ের মত গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যান। পেশায় নাকি ইনভেস্টর ব্যাংকার।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের আন্টিগায় পাঞ্জাব ব্যাংক প্রতারণা মামলার পলাতক ভারতীয় হীরা ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির বাড়ির উল্টোদিকের একটি বাড়ি ভাড়া নেন এই তরুণী। মেহুল চোকসির স্ত্রী প্রীতি চোকসির অভিযোগ যে, এই মেয়েটি আসলে সিবিআই এর পাতা হানিট্রাপ এর জমাট চাক ভাঙা মধু। যে মধু পান করতে গিয়েই তার স্বামী আজ জেল এর ওপারে। প্রীতি জানাচ্ছেন, গত আগস্টে এই তরুণী মেহুলদের বাড়ির বিপরীতে বাড়ি ভাড়া নেয়ার পর আগস্টের ৫ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে সামাজিক মেলামেশার তাগিদে চোকসি পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর ধীরে ধীরে মেহুলের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠেন বারবারা। মেয়েটির নাম কি ছিল? বারবারা জোসেফ নাকি বারবারা জেসিক নাকি বারবারা সি তা মনে করতে পারছেন না প্রীতি। কিন্তু স্বামীকে বারবারার সঙ্গে অন্তরঙ্গ হয়ে উঠতে দেখে প্রীতি বাধা দিলেন না? মিসেস মেহুল চোকসি জানাচ্ছেন, যতবার তিনি প্রসঙ্গটি উত্থাপন করতে গেছেন ততবারই মেহুল তাকে থামিয়ে দিয়েছেন, একজন ইনভেস্টর ব্যাংকারকে তাদের কত প্রয়োজন তা বলে। আন্টিগার পাশের দ্বীপ ডোমিনীকায় অবৈধ প্রবেশের জন্য মেহুল গ্রেপ্তার হন। প্রীতি জানাচ্ছেন, ২৩ মে দিনটি ছিল রোববার। বারবারা কে নিয়ে একটি ডিনার মিটিং এর কথা ছিল মেহুলের। বারবারা অনুরোধ করেছিল তাকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার। সেইমতো মেহুল বারবারা কে বাড়ি থেকে তুলে নিতেই বারবারা আবদার জোড়ে যে, সে আন্টিগার হারবার এর দিকে যেতে চায়। সমুদ্রের খাড়ির তীরে বিলাসবহুল কিছু রেস্তোরাঁ আছে। বারবারার সুঠাম শরীরের আকর্ষণ, তার নিটোল স্তনযুগলের আকর্ষণ, তার আবেদনে মেহুল সাড়া দিতে দেরি করে নি। সমুদ্রতীরে গাড়ি পার্ক করে তারা গাড়ি থেকে নামতেই দশ পনেরোজন যুবক তাদের ঘিরে ধরে। একটি যন্ত্রচালিত প্রমোদতরীতে তাদের তোলা হয়। দুই পাঞ্জাবি যুবক ছিল বোটে। প্রীতি জানাচ্ছেন তাদের একজনের নাম গুরমিত, অন্যজনের গুরজিৎ। বোটে আর এক ভারতীয়  ছিল যার নাম বিবেক। প্রীতির ধারণা এরা সবাই সিবিআই এর অফিসার। ডোমিনীকায় পৌছানোর পর অবৈধ প্রবেশ এর দায়ে মেহুল চোকসিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বারবারা কে আর কেউ দেখতে পায়নি। মেয়েটা যেন মন্ত্রবলে অদৃশ্য হয়ে যায়। বন্দি অবস্থায় মেহুল এই কাহিনি শুনিয়েছেন প্রীতিকে। প্রীতি নিশ্চিত, বারবারা ছিল সিবিআই এর পাতা একটি ফাঁদ, যে ফাঁদে পা গলিয়েছেন তার স্বামী মেহুল চোকসি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর