সোশ্যাল মিডিয়া তার নামকরণ করেছে জোমাটো গার্ল। দমদম অঞ্চলে লাল টি শার্ট, মাথায় ক্যাপ পরা তরুণী সংগীতা এখন প্রায় মিথ। জোমাটোতে খাবারের অর্ডার দিলে যে কোনোদিনই সংগীতা তার স্কুটি নিয়ে আপনার বাড়ির দোরগোড়ায় পৌছে যেতে পারে। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য বিভাগের ছাত্রী সংগীতা মাস কয়েক আগে হাতখরচ জোগাড়ের জন্যে জোমাটোর এই কাজটি নিয়েছিলেন। বরাবরই গতি তার পছন্দ। উদ্দাম গতিতে স্কুটিতে ঝড় তুলে নির্ধারিত সময়ে কাস্টমারের কাছে খাবারের প্যাকেট পৌছে দেয়ার চ্যালেঞ্জটাও আছে। গতি এবং চ্যালেঞ্জ জোমাটোর কাজটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে, জানালেন সংগীতা। লকডাউন এ বাবার কাছে হাত পেতে ফোনের রিচার্জের টাকা নেয়ার লজ্জা সংগীতাকে জোমাটোর এই কাজটি নিতে উদ্দীপ্ত করে।
ঝকঝকে তরুণী, তার আবার স্কুটি আছে। জোমাটো সংগীতাকে নিতে দেরি করেনি। এখন বহুরূপী নাট্য দলের সদস্য এই দুঃসহ করোনা কালে নিজের উপার্জনের টাকা বাচিয়ে দুঃস্থ নাট্যকর্মীদের পাশে দাড়াচ্ছেন। নাট্যশিক্ষক দেবেশ রায়চৌধুরির একটি কথা সংগীতার কানের মধ্যে দিয়ে মরমে পৌঁছে গেছে -মানুষের পাশে থাকতে হবে, মানুষকে বুঝতে হবে। সেই বোঝার তাগিদেই দুস্থ নাট্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন জোমাটো গার্ল। এই সব নাট্যকর্মীরা অনেকেই কাজ হারিয়েছেন কোভিডের নিদারুন গ্রাসে। সংগীতা তাদের কাছে সাহারা। জোমাটো গার্ল বলছেন, আমার আর সামর্থ কতটা, একজনের মুখেও যদি হাসি ফোটাতে পারি...