দীর্ঘ ৭ মাস তারা একসঙ্গে থাকেন না। পরিভাষায় বলতে গেলে -The marriage is on the rocks। ঘনিষ্ঠরা বলছেন অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান ও তার স্বামীর মানসিক বিচ্ছেদ হয়েই গেছে, আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল বলে। এরই মধ্যে নুসরাতের মা হওয়ার খবরে উত্তাল কলকাতা। নিখিল জৈনও কথাটা শুনেছেন। রঙ্গোলি শাড়ির সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেছেন, ৭ মাসের ওপর আমরা বিচ্ছিন্ন। নুসরাতের সন্তান সম্ভাবনার খবর আমি জানি না। কেউ আমাকে বলেনি।
কিন্তু খবরটা যদি সত্যি হয় তাহলে এ কথা আমাকে বলতেই হবে, ওই সন্তানের পিতা আর যেই হোক আমি নই। নুসরাতের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন কোনো যোগাযোগই নেই। ও যার সঙ্গে আছে তার সঙ্গে যেন ভালো থাকে। আমি আমার পারিবারিক মূল্যবোধ নিয়ে থাকি। নুসরাত যেমন শুক্রবার দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়া তার মা হওয়ার সংবাদে প্রতিক্রিয়া দেন নি, তেমনই আবার খবরটি অস্বীকারও করেন নি। ইন্সটাগ্রাম ওয়ালে বরং নুসরাত-যশ এর পোস্ট কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। নুসরাত লিখেছেন- তুমি ফুলের মত সুন্দর হয়ে এসো। কার উদ্দেশ্যে তিনি এই কথা লিখেছেন তা স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে যশ দাসগুপ্ত লিখেছেন, আচম্বিতে সব কিছু হয়ে গেল। যশ এর পোস্টেও পরিষ্কার নয় আচম্বিতে কি হয়ে গেল। দুজনের এই হেয়ালি মার্কা পোস্টে নেটিজেনদের মধ্যে কৌতূহলর বন্যা বয়ে যাচ্ছে। তাতে অবশ্য যশরতের ভ্রুক্ষেপ নেই। নুসরাতের বাল্লিগঞ্জ এর ফ্ল্যাটে থাকেন যশ-নুসরাত। বাবার বাড়ি থেকে নিজের বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে চলে এসেছেন নুসরাত। খুল্লাম খুল্লা লিভ ইন করছেন যশ দাসগুপ্তর সঙ্গে। গত বৃহস্পতিবারই শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়দের সঙ্গে পার্টি করার ছবি পোস্ট করেছেন নুসরাত। যশ এবং তিনি একই রং সাদায় ছিলেন। নুসরাতকে ইদানিং দক্ষিণ কলকাতায় এক নামী গাইনোকলোজিস্ট এর ক্লিনিকে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন ডিভোর্সের আইনি নোটিশ নিখিল জৈনের কাছে চলে গেছে। মিউচুয়াল ডিভোর্স এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। নিখিলের একটি কথা কিন্তু গভীরভাবে দাগ কাটছে, আমি আমার পারিবারিক মূল্যবোধ নিয়ে থাকতে চাই। তার অর্থ, মূল্যবোধের সংঘাতই ফাটল ডেকে আনলো শহরের মোস্ট ডিসকাসড কাপলের মধ্যে!