নয়ের দশকে মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন উত্তাল আন্দোলনের জেরে কলকাতার রাজপথ থেকে হাসপাতালের শয্যায়, তখন একটি সদ্য কিশোর তৃণমূলের পতাকা নিয়ে কালীঘাটের বাড়িতে ঘুরে বেড়াতো-- দিদিকে মারা চলবে না। সেই থেকে পিসিকে তাঁর দিদি বলা। মমতা বন্দোপাধ্যায় এর ভাই অমিতের পুত্র অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আজ তৃণমূল কংগ্রেসে নিউমারো উনো মমতার পরেই। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দুহাজার এগারোতে মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দিল্লিতে মামাজমেন্ট ডিগ্রি নেওয়া অভিষেকর আগমন বঙ্গে। তৃণমূল যুবার দায়িত্ব নেওয়া। ২০১৪তে কনিষ্ঠতম সাংসদ। এরপরই শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে তৃণমূলের যুব সভাপতি।
২০২১এ সুব্রত বক্সির জায়গায় দলের সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতির কষ্টিপাথরে ঘষা খেয়ে অভিষেক আজ অনেক পরিণত। শনিবার দায়িত্ব পেয়েই রবিবার গুরুপ্রণাম সারতে বের হলেন। সঙ্গে ফুল, মিষ্টি। নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর বাড়িতে গিয়ে তাঁর আশীর্বাদ নিলেন। ভবানীপুরে এতদিন সর্বভারতীয় সম্পাদক থাকা সুব্রত বক্সির অফিসে গিয়ে তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। সুব্রত বক্সি অভিষেককে আলিঙ্গন করে কেঁদে ফেললেন। সন্ধ্যায় বালিগঞ্জে সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর বাড়িতে। ফুলের স্তবক দিয়ে সুব্রত স্বাগত জানালেন এই তরুণ তুর্কি নেতাকে।
তৃণমূলে কার্যত শুরু হয়ে গেল নবীনদের ইনিংস। সায়নী ঘোষ যুব তৃণমূল সভাপতি, ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি, কুনাল ঘোষ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। টিম অভিষেক এবার পাদপ্রদীপের আলোয়। প্রবীণ নেতারা হতে চলেছেন মার্গদর্শক। পথ দেখবেন তাঁরা, নতুন ভাবনায় উদীপ্ত হবে তৃণমূল। জীবনের নীতি রাজনীতিতেও। নবীনের হাতে ব্যাটন তুলে দিতে হয় প্রবীণদের।