× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাঁশির সুরে মৌমাছি বস

ষোলো আনা

জি.এম.মিন্টু, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
১১ জুন ২০২১, শুক্রবার

যশোর জেলার কেশবপুরে মধু মহাতাব ঘটিয়েছেন অবাক এক কাণ্ড। কোন তন্ত্র-মন্ত্রের সাহায্যে নয়, বাঁশির সুরে বনের মৌমাছিকে বস করেছেন তিনি। তার বাঁশির সুরে চাক ছেড়ে ঝাঁকে-ঝাঁকে মৌমাছি শরীরে এসে বসছে।

কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নের টিটা মোমিনপুর গ্রামে মৌয়াল মহাতাব মোড়লের বসবাস। প্রায় ২০ বছর ধরে নিজ এলাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে মধু সংগ্রহ করাই তার পেশা।
 
সরজমিন তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,  ৪২ বছর বয়সী মহাতাব মোড়ল ওরফে মহাতাব মধুর হাতে লম্বা এক বাঁশি। বাঁশিতে মধুর সুর। সুরের আকর্ষণে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি শরীরে এসে বসছে। পরিমাণ বাড়তে বাড়তে তা পরিণত হয় মৌচাকে।  

মাহতাপ বলেন, আমার বয়স যখন ১২ বছর, তখন থেকেই আমি মজার ছলে মৌ চাক থেকে মধু সংগ্রহ করতে শুরু করি।
গত ২০ বছর আমি মধু সংগ্রহকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। প্রথমে একটি দু’টি মৌমাছি শরীরে নিতে নিতে এখন হাজার হাজার মৌমাছি আমার শরীরে এসে বসে। এর জন্য শরীরকে আগে থেকেই প্রস্তুুত করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, প্রথমে মধু সংগ্রহের বালতি বাজালেই অল্প কিছু মৌমাছি তার শরীরে এসে বসত। এরপর বালতির পরিবর্তে থালা বাজিয়েও মৌমাছিকে শরীরে বসাতে সক্ষম হই। এখন তিনি বালতি-থালার পরিবর্তে বাঁশি বাজাই। সুরের আকর্ষণে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি এসে বসতে শুরু করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর