রাজনৈতিক চর্চার বিষয় হয়ে গেল টলিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের বিয়ে, বিয়ে না হওয়া, প্ৰেম এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি। এটা এখন পরিষ্কার যে, নুসরাত সেপ্টেম্বরে মা হচ্ছেন। আর তার আগে এই ঘটনা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৯ সালে সাংসদ হওয়া নুসরাত জাহানের এই ঘটনা প্রবাহের পাশে থাকছে না তৃণমূল কংগ্রেস, আবার বিজেপিকে ঘোলা জলে মাছ ধরতে দিতে রাজিও নয় তারা। তাই, বিষয়টি একান্ত ব্যক্তিগত বলে এড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। সেই কারণেই সম্ভবত তৃণমূলের অন্য সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও নুসরাতের এই সন্তান হওয়ার সুসময়ে এবং দুঃসময়ে পাশে নেই।

মিমি এবং নুসরাতের সম্পর্কের কথা ইন্ডাস্ট্রিতে সুবিদিত। একে অপরকে বনুয়া বলে ডাকেন দুজনে। তুরস্কে নুসরাতের ডেস্টিনেশন ওয়েডিং এ ছিলেন মিমি। দুজনে একসঙ্গে পার্টি করা থেকে আরম্ভ করে শর্ট ট্রিপ- সবখানেই একসঙ্গে। সেই মিমিকে এবার দেখা যাচ্ছেনা নুসরাতের পাশে। পার্টির নির্দেশেই কি মিমির এই দূরত্ব বজায় রাখা? অনেকেই মনে করছেন, স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি নুসরাতের এই দ্বিচারিতায় বিরক্ত। তিনি পার্টি নেতাদের এই বিষয়টি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে, মিমিও ভিড়ছেন না নুসরাতের পাশে। আছেন অনেক বেশি করে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও তনুশ্রী চক্রবর্তী। দুজনেই গত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন।

নুসরাতের প্রেমিক যশ দাসগুপ্তও বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই গুঞ্জন, নুসরাত কি তাহলে বিজেপির পথেই? যদিও এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছে নুসরাতের ঘনিষ্ঠ মহল। তারা বলছে অনাগত সন্তান ছাড়া নুসরাতের এখন আর কোনো চিন্তা নেই।