× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা ভ্যাকসিন নিয়েই 'ম্যাগনেট ম্যান'

অনলাইন

নিজস্ব সংবাদদাতা
(২ বছর আগে) জুন ১৩, ২০২১, রবিবার, ৪:৫২ অপরাহ্ন

৭১ বছরের  অরবিন্দ সোনার। বাড়ি নাসিকে।  তিনি কোভিশিল্ডের দু'টি টিকা নিয়েছেন। যে হাতে টিকা নিয়েছেন সেখানে নাকি তৈরি হয়েছে চুম্বকীয় ক্ষেত্র। তাই স্টিলের হাতা,  চামচ,  কয়েন সবই নাকি আটকে যাচ্ছে ওই হাতে।  নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অরবিন্দের ডান হাতে স্টিলের খুন্তি, কয়েন চেপে ধরার পর আটকে থাকছে। অরবিন্দের দাবি, এই ঘটনার দিন দুয়েক আগেই তিনি নিয়েছিলেন কোভিডের টিকা। এই ভিডিও শেয়ার করার পর অনেকেই  লিখছেন, ‘কোভিশিল্ড নেয়ার ফল।’ জানা গেছে,  অরবিন্দ সোনার কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজটি নিয়েছিলেন গত মার্চ মাসে। পরের ডোজটি নেন জুন মাসের ২ তারিখে।

তারপর থেকে ভালই ছিলেন। কিন্তু তার পুত্র তাকে জানায়, সে এক জায়গায় পড়েছে, ভ্যাকসিন নেয়ার পর লোহা-স্টিলের জিনিস মানুষের গায়ে আটকে যায়। ছেলের কথা পরীক্ষা করে দেখতে গিয়েই তিনি প্রথম দেখেছিলেন যে তার শরীর চুম্বকের মতো হয়ে গিয়েছে। ভ্যাকসিনের টিকা নেয়া ছাড়া অরবিন্দ সোনারের শরীরে দশ বছর  আগে বাইপাস সার্জারি হয়েছিল, আর দু'বছর ধরে তিনি ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এর কোনটি থেকেই তার শরীরে কি চৌম্বক শক্তি তৈরি হওয়া সম্ভব?  চিকিৎসক এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন করোনাভাইরাসের টিকা থেকে এমনটা হওয়া সম্ভব নয়। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানাচ্ছে, কোভিডের টিকা নিয়ে কোনও ব্যক্তির শরীরেই চুম্বক ক্ষেত্র তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে সে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) একটি টুইট করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘টিকা নিয়ে চুম্বকীয় ক্ষেত্রে তৈরির  যে দাবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ একদিকে যখন নাসিকের ঘটনা মানুষকে ভাবাচ্ছে , ঠিক তখনই শিলিগুড়িতে খোঁজ মিলেছে আরেক 'ম্যাগনেট ম্যান' - এর।  ভ্যাকসিন নেয়ার পর থেকে লোহা, স্টিলের জিনিসপত্র সবই আটকে যাচ্ছে বছর ৫৮-র নেপাল চক্রবর্তীর শরীরে! এও কি সম্ভব? নিজের চোখে না দেখে যে বিশ্বাসই করা যায় না। কোনও শারীরিক অসুস্থতা না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মানব শরীর চুম্বকে বদলে গেল, তা বুঝতে তাকে ভর্তি করা হয়েছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। নেপাল বাবুর বয়ান অনুযায়ী, দিন কয়েক আগে নাসিকের খবরটি দেখার পর তার নিজেকে পরীক্ষা করে দেখার ইচ্ছা হয়। তার শরীরেও এরকম চুম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে কিনা, তা বুঝতে পয়সা আটকে দেখেন। পয়সাটি পড়ে যায়নি। তারপর একে একে আরও বিভিন্ন ধাতব বস্তু নিয়ে পরীক্ষা করেন। দেখা যায়, সেসবই আটকে যাচ্ছে তার শরীরে। ১১ তারিখ থেকে এমনই চলছে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর