নিঃসন্দেহে পিটার্সবাগে আজ সবার নজর থাকবে রবার্ট লেভানদোভস্কির ওপর। ২০১২’র ইউরোতে পোল্যান্ডের প্রথম ম্যাচে গোল করেছিলেন তিনি। ২০১৬’র কোয়ার্টার ফাইনালেও গোল পান এ পোলিশ স্ট্রাইকার। ফ্রান্সের মাটিতে সর্বশেষ ইউরোতে বল পায়ে ঝলক দেখান মারেক হামসিক। এবারও তার দিকে তাকিয়ে স্লোভাকরা। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে লেভানদোভস্কির পোল্যান্ড ও হামসিকের স্লোভাকিয়া। রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।
‘ই’ গ্রুপ থেকে নকআউট পর্বের সম্ভাবনা ধরে রাখতে হলে দু’দলের জন্য ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ।
গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিধর দল স্পেন আসরের অন্যতম হোস্ট। গ্রুপে স্পেনের বিপক্ষে পোলিশ ও স্লোভাকদের খেলতে হবে স্বাগতিক দেশটির সেভিয়ায় গিয়ে। পোলিশ দলের মূল ভরসা লেভানদোভস্কি রয়েছেন তুঙ্গস্পর্শী ফর্মে। জাতীয়ং দলের হয়ে ১১৯ ম্যাচে ৬৬ গোল পাওয়া লেভানদোভস্কি সর্বশেষ জার্মান বুন্দেসলিঘায় নিয়েছেন শিরোপার স্বাদ । আর বুন্দেসলিগায় ২৯ ম্যাচে ৪১ গোল নিয়ে তিনি ভেঙে দিয়েছেন ৫০ বছরের পুরনো রেকর্ড। বুন্দেসলিগার এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৪০ গোলের রেকর্ড ছিল জার্মান লিজেন্ড জার্ড মুলারের। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে এ রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তবে ইউরোর আগে প্রস্তুতির খুব বেশি সময় পাননি কোচ পাওলো সোসা। গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব পাওয়া এই কোচ বলেন, ম্যাচটি সহজ হবে না। ম্যাচে মনোযোগ ধরে খেলতে হবে । ভুল করা যাবে না। স্লোভাকিয়া খুবই সুগঠিত দল। শক্ত ডিফেন্স, মাঝমাঠেই প্রতিপক্ষ দলের আক্রমণ নস্যাত করে দেয়। ছোট ছোট পাস খেলে নিজেদের শক্তি ব্যয় করে না। হঠাৎ লম্বা পাসে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলে দেয়। আর তারা সেট পিসে (কর্নার ফ্রিকিক) ভয়ঙ্কর।’
২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের পর বড় আসরে এটি স্লোভাকিয়ার তৃতীয় আবির্ভাব। আগের দুইবারই নকআউট পর্বে খেলার কৃতিত্ব তাদের। অধিনায়ক মারেক হামসিক সম্প্রতি কিছুটা চোটে ভুগছিলেন । সাধারণত তাকে ঘিরেই ম্যাচের কৌশল সাজান স্লোভাকিয়ার কোচ স্টেফান টারকোভিচ। ২০০৯ সালে পর এটি দু’দলের প্রথম সাক্ষাত। ২০০৭এ এই পোল্যান্ডের বিপক্ষে ই আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় হামসিকের। পিটার্সবার্গে লড়াই সামনে রেখে স্লোভাকিয়া কোচ টারকোভিচ বলেন, ‘এ পর্যন্ত পৌঁছতে আমরা প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছি। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পোল্যান্ড আমাদের চেয়ে এগিয়ে। আর আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে এসেছি আমরা। তবে আসরের শুরুটা ভালো হওয়া জরুরী। তবে ফ্রান্সে ২০১৬’র আসরে প্রথম ম্যাচে ওয়েলসের কাছে হেরেও নকআউট পর্বে উঠেছিলাম আমরা।’
মুখোমুখি পরিসংখ্যানেও এগিয়ে স্লোভাকিয়া। পোল্যান্ডের সঙ্গে ৮ সাক্ষাতে তিন হারের বিপরীতে চারবার জয় দেখেছে স্লোভাকরা। ২০১৩তে দু’দলের সর্বশেষ সাক্ষাত পোল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল স্লোভাকিয়া।