× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জয়ে ফিরলো আবাহনী হারের বৃত্তে পারটেক্স

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ জুন ২০২১, সোমবার

পাঁচ ম্যাচ খেললেন মুনিম শাহরিয়ার। সেখানে তার ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ইনিংস ২৮ রানের। ঢাকা ক্লাব ক্রিকেটের অন্যতম বড় দল আবাহনী ২৩ বছরের এই তরুণের ওপর আস্থা রাখলো। ৬ষ্ঠ ম্যাচে এসে তার প্রতিদানও দিলেন ময়মনসিংহের এই ক্রিকেটার। ওপেন করতে নেমে মাত্র ৫০ বলে ৯২ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দিলেন। তবে তার ইনিংসে এনামুল হক বিজয়ের সহজ স্টাম্পিং মিসের পর নাইম হাসানের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যায়। এখানেই শেষ নয় ৯০ রানেও আরেক দফা জীবন পান এই তরুণ। তার ব্যাটে ভর করেই ৩ উইকেটে ১৮৩ রানের পুঁজি পায় আবাহনী।
জবাব দিতে নেমে বৃষ্টি আইনে ১৭৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে ৬ উইকেটে ১৪৩ রানে থেমেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এ হারে বৃথা যায় দেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের দলের হয়ে প্রথম ফিফটি। মোহামেডানের বিপক্ষে বিতর্কিত ম্যাচে হারের পর ফের আবাহনী জয়ে ফিরেছে। বৃষ্টি আইনে ৩০ রানের এ জয়ে ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে দলটির ১২ পয়েন্ট নিয়ে দলটির অবস্থান এখন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। গতকাল হারলেও একই সমান পয়েন্ট নিয়ে এখনো শীর্ষে প্রাইম ব্যাংক। অন্যদিকে দিনের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে হারের বৃত্ত থেকে বেরোতে পারেনি পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে তারা হেরেছে ৫ উইকেটে। টানা ৮ ম্যাচে হেরে চলমান বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে দলটির অবস্থান তালিকার তলানিতে।
গতকাল আবাহনীর জয় পাওয়া ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয় মুনিম শাহরিয়ারের ৯২ রানের হার না মানা ইনিংস। তিনবার জীবন পেয়ে ৯ চার ৫টি ছয়ের মারে ইনিংস সাজান মুনিম। এ ছাড়াও দলের হয়ে মোহাম্মদ নাঈম ২৯ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৩০ রানের কার্যকর অবদান রাখেন। লক্ষ্য তাড়ায় নামা প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের উদ্বোধনী জুটি আবাহনীর মতো ভালো শুরু পায়নি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে রনি তালুকদার ফিরেছেন ৪ রান করে। তবে অন্য প্রান্তে তামিম ইকবাল ছিলেন সাবলীল। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে যোগ করেন ৫৩ রান। যেখানে বিজয়ের অবদান কেবল ১১ রান। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে বিজয় ফিরলে ভাঙে জুটি। তবে ৫ রানের ব্যবধানে ফিরেছেন তামিমও। ৪২ রানে জীবন পেয়েও থেমেছেন ৫৫ রানে। আরাফাত সানির বলে আফিফ হোসেনকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৪১ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন তামিম। দলীয় ৯৬ রানে অমিত মজুমদার মাত্র ৪ রান করে বিদায় নিলে প্রাইম ব্যাংক হারায় চতুর্থ উইকেট। ততক্ষণে বলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় রান পাল্লা দিয়ে বাড়ে। ১৬ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে রান ৪ উইকেটে ১১৭। এরপরই নামে বৃষ্টি, প্রায় আধঘণ্টার মতো খেলা বন্ধ থাকার পর নতুন লক্ষ্য ঠিক হয় প্রাইম ব্যাংকের জন্য। ১৯ ওভারে করতে হবে ১৭৪, অর্থাৎ বৃষ্টির পর ৩ ওভারে করতে হতো ৫৭। আরও ২ উইকেট হারিয়ে তামিম ইকবালরা করতে পারে ২৬ রান। ৬ উইকেটে ১৪৩ রানে থামতে হয় শেষ পর্যন্ত। শেষদিকে নাহিদুল ইসলামের ১৬ রানের সঙ্গে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন অলক কাপালি। আবাহনীর হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
এর আগে ৬.১ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতে আবাহনীর দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও নাইম শেখ তুলে ফেলেন ৪৯ রান। ২৭ বলে ৫ চারে ২৯ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে বোল্ড হন নাইম। তবে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে মুনিম যোগ করেন আরও ৪৬ রান। যেখানে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে সমান দুইটি করে চার, ছক্কায় ৩০ রান। শান্তর বিদায়ের পর জীবন পেয়ে ফিফটি তুলে নেন মুনিম। চলতি ডিপিএল দিয়েই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের। এদিন নিজের প্রথম ফিফটি ছোঁয়ার পর অপরাজিত ছিলেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে। তবে মনির হোসেনের করা ৮ম ওভারে স্টাম্পিংয়ের আবেদন নাকচ করে দেন আম্পায়ার। যদিও পরে বিসিবির লাইভ থেকে দেখা যায় উইকেট রক্ষক বল গ্লাভসবন্দি করে স্টাম্পিংয়ে সময় নেন। তখন ব্যক্তিগত ২০ রানে ব্যাট করছিলেন মুনিম। ১৪তম ওভারে তার সহজ ক্যাচ ছাড়েন নাইম হাসান, যা ছক্কা হয়। আর তাতেই ৪৯ রানে পৌঁছান, পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ২৯ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি। এরপর অবশ্য রান তোলাতে বাড়িয়েছেন আরও গতি। মুশফিককে নিয়ে জুটিতে যোগ করেন ৫১ রান, যেখানে ৫ রানে জীবন পাওয়া মুশফিকের অবদান মাত্র ১৪। ১৬ বলে মাত্র ১ চারে ১৪ রান করে মুশফিক ফিরেছেন শরিফুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। মুশফিক ফিরলে আফিফ হোসেনকে নিয়ে শেষ ১৭ বলে মুনিম স্কোরবোর্ডে তোলেন আরও ৩৭ রান।  শেষ ওভারে ব্যক্তিগত ৯০ রানে লংঅনে তার আরও একটি সহজ ক্যাচ ছাড়েন রনি তালুকদার। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৯ চার ৫ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৯২ রানে। এটি চলতি ডিপিএলে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। আবাহনী ৩ উইকেটে ১৮৩ রানে থামার পথে ৬ বলে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর