× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাজেট আলোচনায় অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা /ভ্যাকসিনেশন না হলে রপ্তানি বাজার হারাতে হবে

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৪ জুন ২০২১, সোমবার

উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশেও ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারলে রপ্তানির প্রধান বাজারগুলো হারাতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি করোনার সংকট মোকাবিলায় প্রস্তাবিত বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা (রোড ম্যাপ) যোগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। গতকাল ঢাকায় বাজেট পরবর্তী এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।
‘রিফ্লেকশনস অন দ্য বাজেট ২০২১-২২’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন ও গবেষণা সংস্থা রিসার্স পলিসি ইন্ট্রিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ও র‌্যাপিড চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক প্যানেল আলোচনায় হিসেবে অংশ নেন। ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র‌্যাপিড নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কর্পোরেট কর হারে ছাড়ের বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। তবে বাজেটটি এমন সময় হয়েছে যখন আমাদের সামনে করোনা সংকট থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ।
এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রণোদনার পাশাপাশি ভ্যাকসিনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শেষ না হলে বায়াররা আসবেন না। ভ্যাকসিন দিতে না পারলে আমাদের সঙ্গে বায়ার দেশের বিমান চলাচলও স্বাভাবিক থাকবে না। ফলে রপ্তানি বাজার হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
ভ্যাকসিনেশন জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসানও। তিনি বলেন, আমরা ভ্যাকসিনেশনে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছি। এটি বাড়াতে হবে। ভ্যাকসিনেশনে পিছিয়ে থাকলে রপ্তানিতেও পিছিয়ে যেতে হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাকসিনের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ হাজার কোটি টাকা যথার্থ নয় জানিয়ে এ সংকট মোকাবিলায় থোক বরাদ্দের সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকাও ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ভ্যাকসিনেশন না হলে আমাদেরকে বিভিন্ন দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। ফলে যতদ্রুত সম্ভব মানুষকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
ভ্যাকসিনেশনে জোর দেয়া জরুরি বলে মনে করছেন প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে সবাই কথা বলছেন। ভ্যাকসিন না নিলে, হার্ড ইমিওনিটি না হলে আমাদের বায়াররা এখানে আসবে না। এটা হলে আমরা কোথায় যাবো। আমার মনে হয়, এ বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এ বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে বলে আমি মনে করি।
এর আগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ড. এম আবু ইউসুফ বলেন, প্যান্ডেমিক চ্যালেঞ্জ, এলডিসি গ্রাজুয়েশন উত্তরণ, এসডিজি গোল অর্জন এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সামনে রেখে বাজেট ঘোষিত হয়েছে। প্রবৃদ্ধির সঙ্গে এই লক্ষ্যগুলো ঠিক রেখে প্রণয়নের দরকার ছিল।
তিনি বলেন, বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ১ শতাংশের মতো। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এটি ২ শতাংশ করার কথা বলা রয়েছে। ফলে বাজেটে এর বাস্তবায়ন নেই। সিএমএইচসহ ঢাকার সরকারি হাসপাতালগুলোর মতো জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল স্থাপন করা দরকার। বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দ দরকার। স্বাভাবিক সময়ের মতোই ৭.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভুল বার্তা দিচ্ছে কিনা তা ভাবা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর