পাকা আম দেয়ার কথা বলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পাজরের হাড় ভেঙে দিয়েছে এক বখাটে। শিশুটি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের বিছানায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে আজ সোমবার সুন্দরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
সুন্দরগঞ্জ পৌর এলাকার বামনজল তেলীপাড়া গ্রামের শিশুর পিতা খয়বর হোসেন জানান, শুক্রবার দুপুরে পাশের বাড়ির তার সাত বছরের শিশু কন্যাকে পাকা আম দেয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় বখাটে শহিদুল ইসলাম। তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে মেয়েটি চিৎকার দিলে বখাটে শহিদুল ইসলাম মেয়েটির কোমরে সজোরে আঘাত করে চম্পট দেয়।
এতে মেয়েটির কোমরের একটি হাড় ভে্েঙ যায়।
ঘটনার দিন মেয়েটি তার কবল থেকে উদ্ধার পেয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার বাবা মায়ের কাছে বলে দেয়। মেয়ের পিতা মাতা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে বখাটে ও বিত্তবান শহিদুল ইসলামের স্বজনরা মেয়েটির পরিবারকে মামলা করতে নিষেধ করে এবং আটকে রেখে কবিরাজি চিকিৎসা করে ।
মা আনোয়ারা বেগম বলেন, শিশুটি আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি মেয়েকে বাড়িতে পালিয়ে নিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে জানান, শিশুটির কোমরের হাড় ভেঙে গেছে। সেখানে শনিবার রাতে চিকিৎসা করা হলেও তার কোন উন্নতি হয়নি। বাধ্য হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে রোববার গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সে এখন গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের ৫ নম্বর বিছানায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের আর এমও ডা. মো. হারুনুর রশিদ বলেন, মেয়েটিকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়েছে। তার কোমরের একটি হাড় ভেঙ্গে গেছে। তার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান বলেন,একটি অভিযোগ পেয়ে বখাটে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি ।