নোভাক জকোভিচের অভিজ্ঞতার কাছেই যেন হার মানলেন স্তেফানোস সিতসিপাস। রোঁলা গারোয় ২৯তম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে নেমেছিলেন জকোভিচ। আর সিতসিপাস প্রথম। রোববারের ফাইনালে প্রথম দুই সেট হেরেও আরেকটি ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে ইতিহাস গড়েন জকোভিচ। গত ৫২ বছরে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চারটি গ্র্যান্ড স্লামই জিতলেন অন্তত দুবার করে। র‌্যাঙ্কিংয়ের চারে থাকা সিতসিপাসকে হারালেন ৬-৭, ২-৬, ৬-৩, ৬-২, ৬-৪ গেমে।

১৯তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে রজার ফেদেরার-রাফায়েল নাদালকে ছোঁয়া থেকে একধাপ দূরে জকোভিচ। টেনিসের নাম্বার ওয়ান সিতসিপাসকে হারাতে সময় নেন ৪ ঘণ্টা ১১ মিনিট। ১৯৬৯ সালে শেষবার চারটি গ্র্যান্ড স্লামেই দুইবার করে চ্যাম্পিয়নের কীর্তি গড়েন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি রড লেভার। সার্বিয়ান তারকা জকোভিচ ২০১৬ সালের পর ফ্রেঞ্চ ওপেনে দ্বিতীয় শিরোপা জিতলেন। টেনিসের এই নাম্বার ওয়ান অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছেন সর্বোচ্চ নয়বার, উইম্বলডন পাঁচটি এবং ইউএস ওপেনে শিরোপা জেতেন তিনবার।

টেনিসে উন্মুক্ত যুগ শুরুর পর কেউই চার গ্র্যান্ড স্লামে অন্তত দুইবার করে শিরোপা জিততে পারেননি। নোভাক জকোভিচ প্রথমবার গড়লেন বিরল এই কীর্তি। পুরুষ এককে প্রথম দুই সেট হেরেও গ্র্যান্ড স্লাম জেতা প্রথম খেলোয়াড়ও জকোভিচ। এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেনে একাধিক ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখেছেন জকোভিচ। চতুর্থ রাউন্ডে লরেন্সো মুসেত্তির বিপক্ষে হেরেছিলেন প্রথম দুই সেট। সেমিফাইনালে ক্লে কোর্টের রাজা ১৩ বারের ফ্রেঞ্চ ওপেনজয়ী রাফায়েল নাদালের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিয়েছেন জকোভিচ। নাদালের বিপক্ষে প্রথম সেট হারেন। দ্বিতীয় সেটেও ছিলেন হারের মুখে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতে নেন ম্যাচ।

শেষ ৪৮ ঘণ্টার ৯ ঘণ্টাই টেনিস কোর্টে কাটিয়েছেন জকোভিচ। খেলেছেন কঠিন দুই ম্যাচ। বারবার পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়ানোর রহস্য জানালেন জকোভিচ। তিনি বলেন, ‘দারুণ অনুভূতি। আমি কোচ, ফিজিও সহ সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। খুব কঠিন তিন দিন কাটিয়েছি। কঠিন পরিস্থিতিতেও শান্ত থেকেছি। নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল। জানতাম আমি পারব।’