কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় আর অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোমান্স কদিন বিরতির পর আবার প্রকট হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার গোল পার্কের মেঘনাদ সাহা রোডের ফ্ল্যাটে থাকেন শোভন-বৈশাখী। কার্যত লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা। এবার সরাসরি স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যাভিচার চালানোর অভিযোগ আনলেন শোভন। বৈশাখীর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে শোভনের পর্ণশ্রীর বাড়িতে রত্না একাধিক ছবি পোস্ট করা হয়েছে। কোনও ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক যুবকের সঙ্গে দোলনায় বসে আছেন রত্না। ছবিতে অন্যরাও আছেন। তবে ওই যুবকটিকে এই ছবিতে এবং অন্য ছবিতে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শোভন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন যে চার বছর আগে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের এই ব্যাভিচারের জন্যই তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। শোভনের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি সব জানিয়েছিলেন। মমতা দিই তাঁকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। রতœা চট্টোপাধ্যায় শোভনের এই অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে সবাই আমার কর্মী। শোভন এই সম্পর্কে বলেন, ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা তিনি ও বাড়িতে থাকলে দরজার চৌকাঠ পর্যন্ত মারাবার সাহস পেতো না। শোভন অভিযোগ করেন যে তাঁর যাবতীয় হিসেবপত্র রত্নার হাতে তুলে দেওয়াটা তাঁর ভুল হয়েছিল। রত্না এবং ওই যুবকটি তাঁকে লুটে নিয়েছে। শোভন জানান, নারদ মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার দিন রত্না চট্টোপাধ্যায় ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর আইনি অথবা মেডিক্যাল সাহায্য তিনি নেননি। যাবতীয় ব্যবস্থা করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও রত্না নিজাম প্যালেস এ হাজির হয়ে নাটক করেন। শোভন জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত নিজাম প্যালেসের একতলায় নেমে তাঁকে রত্নার উদ্দেশ্যে বলতে পর্যন্ত হয় যে আপনি চলে যান। আপনার কোনও সাহায্য আমার দরকার নেই। বৈশাখীই যে তাঁর সাহারা তা ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।