আইসিসির হল অব ফেমে জায়গা পেয়েছেন আরো দশ ক্রিকেটার। আধুনিক যুগের ক্রিকেটে জায়গা পেয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা ও অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। সবমিলিয়ে বিশেষ এই তালিকায় যুক্ত হলো ১০৩ কিংবদন্তি ক্রিকেটারের নাম।
ক্রিকেটের শুরু থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত সময়কালকে ধরা হয়েছে শুরুর যুগ। সেই যুগ থেকে হল ফেমে জায়গা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অব্রি ফকনার ও অস্ট্রেলিয়ার মন্টি নোবেল। অলরাউন্ডার ফকনার ২৫টি টেস্টে ৪০.৭৯ গড়ে ১৭৫৪ রান ও বল হাতে ৮২টি উইকেটের মালিক। নোবেল অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৪২টি টেস্ট ম্যাচে ৩০.২৫ গড়ে ১৯৯৭ রান ও ১২১টি উইকেট দখল করেন।
তারপরের যুগকে ভাগ করা হয়েছে ১৯১৮ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত, যুদ্ধ মধ্যবর্তী যুগ। সেখানে নির্বাচিত হওয়া দুইজন ক্রিকেটার হলেন লরি কন্সট্যানটাইন ও স্ট্যান ম্যাককেব। কন্সট্যানটাইন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ১৮টি টেস্টে ১৯.২৪ গড়ে ৬৩৫ রান ও ৫৮টি উইকেটের মালিক।
অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককেব ৩৯টি টেস্টে ৪৮.২১ গড়ে করেন ২৭৪৮ রান। তার নামের পাশে উইকেটও আছে ৩৬টি।
যুদ্ধ পরবর্তী যুগে (১৯৪৬ থেকে ১৯৭০ সাল) রাখা হয়েছে টেড ডেক্সটার ও বিনোদ মানকড়কে। ইংলিশ ক্রিকেটার ডেক্সটার ৬২টি টেস্ট ম্যাচে ৪৭.৮৯ গড়ে ৪৫০২ রান ও ৬৬টি উইকেট শিকার করেন। ভারতের মানকড় ৪৪ টেস্টে ৩১.৪৭ গড়ে রান করেন ২১০৯ রান ও উইকেট শিকার করেন ১৬২টি। বিতর্কিত মানকাডিং আউটের নামের উৎপত্তি হয়েছে বিনোদ মানকড়ের নাম থেকেই।
১৯৭১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পুরাতন যুগের দুইজন হিসেবে হল অব ফেমে জায়গা পেয়েছেন ডেসমন্ড হেইন্স ও বব উইলিস। হেইন্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে খেলেছেন ১১৬টি টেস্ট। ৪২.২৯ গড়ে তার সংগ্রহ ৭৪৮৭ রান। এই ব্যাটসম্যান চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ইংল্যান্ডের বব উইলিস একমাত্র পেসার হিসেবে আছেন এই তালিকায়। তার নামের পাশে আছে ৯০ টেস্টে ৩২৫টি উইকেট।
১৯৯৬ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ধরা হয়েছে আধুনিক ক্রিকেট যুগ। আধুনিক যুগে এই সম্মানিত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা ও জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। জিম্বাবুয়ের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই তালিকায় জায়গা পেলেন ফ্লাওয়ার। ৬৩টি টেস্টে ৫১.৫৫ গড়ে ৪৭৯৪ রান করেছেন তিনি। উইকেটরক্ষক হিসেবে আছে ১৬০টি ডিসমিসাল। ২১৩টি ওয়ানডেতে ফ্লাওয়ারের সংগ্রহ ৩৫.৩৪ গড়ে ৬৭৮৬ রান।
সাঙ্গাকারা শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলেছেন ১৩৪ টেস্ট। ৫৭.৪০ গড়ে তার সংগ্রহে আছে ১২ হাজার ৪০০ রান। ডিসমিসাল আছে ২০২টি। ৪০৪টি ওয়ানডে ম্যাচে করেছেন ১৪ হাজার ২৩২ রান, গড় ৪১.৯৯। ৫৬টি টি-টোয়েন্টি খেলে তার সংগ্রহ ৩১.৪১ গড়ে ১ হাজার ৩৮২ রান।