‘ভুয়া’ অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচিকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন এর মধ্য দিয়ে তাকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নির্মূল করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করতে চাইছে সামরিক জান্তা। ওদিকে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে তাদেরকে সমর্থন করেছে মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থি বিরোধী দলগুলো। এ খবর দিয়েছে তুরস্কের অনলাইন টিআরটি ওয়ার্ল্ড এবং আয়ারল্যান্ডের জনপ্রিয় পত্রিকা আইরিশ টাইমস। এতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গারা দশকের পর দশক নাগরিকত্ব, অধিকার, সরকারি সেবা ও স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার বঞ্চিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে সামরিক জান্তার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বিক্ষোভকারীর ছবি দেখা গেছে কালো পোশাকে।
এ পোশাককে রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি হিসেবে দেখা হয়। অধিকারকর্মী এবং নাগরিক সমাজ রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাসট্যাগ ব্লাক৪রোহিঙ্গা খোলেন। সেখানে তারা কালো পোশাক পরে এবং তিন আঙ্গুল উঁচিয়ে প্রতিরোধের প্রতীক প্রকাশ করে ছবি পোস্ট করেছেন। টুইটারে প্রথম সারির অধিকারকর্মী থিনজার শুনলেই ঈ লিখেছেন,আপনাদের সবাইকে এবং মিয়ানমারে আমরা যারা রয়েছি তাদের সবাইকে ন্যায়বিচার দেয়া হবে। বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে ছোট আকারের একটি বিক্ষোভের দৃশ্য প্রদর্শন করা হয় স্থানীয় মিডিয়ায়। এতে বিক্ষোভকারীরা ছিলেন কালো পোশাকে আবৃত। এ সময় তারা বেশ কিছু সাইন প্রদর্শন করেন। তার একটিতে লেখা ছিল ‘নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য বিক্ষোভ’। বিকেল নাগাদ হ্যাসট্যাগ ব্লাক৪রোহিঙ্গা মিয়ানমারে টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে। এতে মনোযোগ আকৃষ্ট করে কমপক্ষে এক লাখ ৮০ হাজার মানুষের।
ওদিকে আইরিশ টাইমস লিখেছে, অং সান সুচির বিরুদ্ধে এই বিচার হবে মিয়ানমারের আরো এক দফা বড় মাপের পশ্চাৎপদতা। সেখানে ধীর গতিতে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু ১লা ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে পথভ্রষ্ট করা হেেছ। মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, রাজধানী ন্যাপিডতে বিশেষ আদালতে সুচির বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি হয়েছে। এসব অভিযোগ ভুয়া এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর উদ্দেশ্য সুচির বিজয়কে বাতিল করে দিয়ে তাকে আবার সরকারি দায়িত্বের জন্য নির্বাচন থেকে দূরে রাখা।