ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৪ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তবে চার্জশিটে দুই আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ ও সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নুর ছাড়া অব্যাহতি পাওয়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকি (২৩)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান চার্জশিট দাখিল করেন। গত ৮ই জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তিনি। গতকাল সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালতের জিআর শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে, ২০২০ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে ভিপি নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে আসামি হাসান আল মামুন বাদীকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেন। ফলে ২০২০ সালের ৩রা জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে আসামি হাসান আল মামুন তার বাসা লালবাগে যেতে বলেন। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
গত বছরের ২৯শে মে আসামি নাজমুল হাসান সোহাগ বাদীকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য অৎড়যর ংরসধ, ইধরংযধশর উধং নামক ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন সেক্সুয়াল গ্রুপে বাদীর মোবাইল নাম্বার ছড়িয়ে দেয়। বাদীনি এ বিষয়ে গত বছরের ২০শে জুন বিবাদী নুরুল হক নুরকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানান। পরে নুরুল হক নুর বাদীকে তার সঙ্গে কথা বলে সুব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরে একই বছরের ২৪শে জুন আসামি নুরুল হক নুর বাদীনিকে নীলক্ষেতে দেখা করার জন্য বলে। সেখানে আসামি নুরুল হক নুর তাকে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে এবং বাড়াবাড়ি করলে ভক্তদের দিয়ে তার নামে উল্টাপাল্টা পোস্ট এবং বাদী পতিতা বলে প্রচারের হুমকি দেন।