করোনার জেরে কোপা আমেরিকা নিয়ে তালবাহানা কম হয়নি। ভাইরাসটির প্রকোপ এড়াতে আর্জেন্টিনা থেকে ভেন্যু স্থানান্তরিত করা হয়েছে আরেক করোনা জর্জরিত দেশ ব্রাজিলে। কনমেবলের অপটু সিদ্ধান্তের নজির সামনেই- সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ভেনিজুয়েলা, কলম্বিয়া, বলিভিয়ার ফুটবলাররা। এমন পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ নিয়ে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের কথা জানালেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ভেনিজুয়েলার আট খেলোয়াড়সহ মোট ১৩ জন এবং বলিভিয়ার তিন খেলোয়াড়ের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যেকারণে কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে নিয়মিত সাতজনকে ছাড়া খেলতে নামে ভেনিজুয়েলা। তেমন লড়াইও করতে পারেনি, শক্তিশালী ব্র্রাজিলের বিপক্ষে হেরেছে ৩-০ গোলে।
মেসি বলেন, ‘এটা আমাদের চিন্তায় ফেলেছে।
সবারই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আমরা সতর্ক থাকার চেষ্টা করছি, কিন্তু এটা সহজ নয়। সতর্ক থাকার পরও হচ্ছে।’ আর্জেন্টিনা অধিনায়কের ভাষ্য, ‘কেউ যাতে আক্রান্ত না হয়, তার জন্য আমরা সব চেষ্টাই করব। কিন্তু কখনও কখনও বিষয়টা শুধু আমাদের ওপর নির্ভর করে না।’
দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল) গত এপ্রিলে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিল। কোপা শুরু আগে সকল খেলোয়াড়দের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের আওতায় আনার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো খবর মেলেনি।
কোপা আমেরিকার আসরটি মূলত গত বছর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপে এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয় শতবর্ষী আসরটি। এরপর আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া যৌথভাবে কোপা আয়োজন করার কথা ছিল, যা টুর্নামেন্টটির ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথম। এরপর গত ২০ শে মে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আয়োজক হতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে কলম্বিয়া। একক আয়োজক হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও করোনার প্রকোপে সেটি সম্ভব হয়নি আর্জেন্টিনারও। এরপরই দায় বর্তায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের কাঁধে।