× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জয় দিয়ে সমানে সমান আবাহনী-প্রাইম ব্যাংক

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৫ জুন ২০২১, মঙ্গলবার

ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। নবম রাউন্ডের খেলা শেষে সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে দল দুটি।
আগের ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে হেরেছিল প্রাইম ব্যাংক। নবম ম্যাচে ওল্ড ডিওএইচএসকে ২২ রানে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে দলটি। চলতি আসরে এটি তামিম ইকবালদের সপ্তম জয়। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে এদিনও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন রনি তালুকদার। ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন প্রাইম ব্যাংকের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদার। উদ্বোধনী জুটি থেকেই আসে ৫১ রান। ২৮ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে তামিম ফিরলে ভাঙে জুটিটি।
এরপর অধিনায়ক এনামুল হকের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন রনি। তার ইনিংস থামে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে। এরপর এনামুল হক ১৫, মোহাম্মদ মিঠুনের ১৬ রানের ওপর ভর করে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস থামে ১৪৭ রানে। ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন রাকিবুল হাসান ও আসাদুজ্জামান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারেননি ওল্ডডিওএইচএসের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে প্রাইম ব্যাংককে উইকেট এনে দেন মনির হোসেন, অলক কাপালিরা। ব্যাট হাতে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মাহমুদুল হাসান জয় ও রায়হান রহমান। দুই ব্যাটসম্যান মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৩৭ রান। এরপর প্রিতম কুমার ১৯ রান, রাকিবুল হাসানের ১৩ রানে ভর করে ওল্ডডিওএইচএসের ইনিংস থামে ১২৫ রানে। ২২ রানের জয় পায় প্রাইম ব্যাংক। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে একাই তিন উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম।  দু’টি করে উইকেট নেন মনির হোসেন, অলক কাপালি ও নাহিদুল ইসলাম।
দিনের আরেক ম্যাচে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ৪৯ রানের জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। গত ম্যাচে ৯২ রান করা মুনিম শাহরিয়ারের ব্যাট এ ম্যাচেও হেসেছে। ৪০ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরা হয়েছেন এই ওপেনার। এছাড়া ফিফটি পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ১১ বলে ১০ রানে নাসির হোসেনকে উইকেট দিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে।
এরপই নাজমুল হোসেন শান্ত’র সঙ্গে ৮৮ রানের বড় জুটি গড়েন মুনিম। মাত্র ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।  ১০ ওভারে দলীয় ১০০ রান অতিক্রম করে আবাহনী। ৪০ বলে ৭৪ রান করে জিয়াউর রহমানের উইকেটে পরিণত হন মুনিম। ফেরার আগে ৯ চার, ৩ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। রানের খাতা খুলতে পারেননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। ৪২ বলে ৬৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন শান্ত। ১৮.২ ওভারে আবাহনীর সংগ্রহ ১৮১। এরপরই নামে বৃষ্টি।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে জয়ের জন্য শেখ জামালের লক্ষ্য ছিল ১৪৮ রানের। তবে শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি ধানমণ্ডি ক্লাবের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারে সৈকত আলীকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও দ্বিতীয় ওভারে জিয়াউর রহমানকে তানজিম হাসান সাকিব ফেরান। ১০ বলে ৮ রান করে মেহেদী হাসান রানাকে উইকেট দেন ইমরুল কায়েস। টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর মাঠে নেমে আগ্রাসী হন নুরুল হাসান সোহান। তবে বেশি দূর এগোয়নি শেখ জামাল অধিনায়কের ইনিংস। ১১ বলে ২২ রানার দ্বিতীয় উইকেটে পরিণত হন তিনি। একই ওভারে তানভীর হায়দারকেও ফেরান রানা।
৪ বলে ৬ রান করে  আরাফাত সানীর বলে আউট হন নাসির হোসেন। দলীয় ৫০ রানে ৬ উইকেট হারালে বিপদে পড়ে যায় শেখ জামাল। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ এনামুলের ২৯ রানে দলটির ইনিংস থামে ৯৮ রানে।
আবাহনীর পক্ষে ৩ উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা। ২ উইকেট পান আরাফাত সানি। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তানজিম হাসান সাকিব, আমিনুল ইসলাম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর