× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৫ জুন ২০২১, মঙ্গলবার

ভারত ভ্রমণে না গিয়ে কিংবা প্রতিবেশী দেশটির কারও সংস্পর্শে না গিয়েও চট্টগ্রামের দুই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ এবং ঢাকাস্থ আইসিডিডিআর,বি’র একটি যৌথ গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি সংক্রমণ শুরু হয়েছে জানিয়েছেন এই গবেষক দল। বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) অর্থায়নে এই গবেষণা কার্যক্রমে চট্টগ্রামের ৪২ জন করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে এই গবেষণার ফলাফল জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, গবেষণায় চট্টগ্রাম বিভাগের সাতটি কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাব এবং হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা ৪২টি নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২টি ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, ৩টি নাইজেরিয়ান (ইটা ভ্যারিয়েন্ট), ৪টি (৯৫ শতাংশ) যুক্তরাজ্যের (আলফা ভ্যারিয়েন্ট) এবং বাকি ৩৩টি (৭৮ দশমিক ৫ শতাংশ) দক্ষিণ আফ্রিকার (বিটা ভ্যারিয়েন্ট) ধরন শনাক্ত হয়। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত দুইজন রোগীর কেউই সমপ্রতি ভারতে যাননি এবং তাদের জানামতে ভারতফেরত কারও সংস্পর্শেও আসেননি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল্‌?- ফোরকানের নেতৃত্বে এই গবেষণা টিমে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক লায়লা খালেদ, প্রভাষক মো. জিবরান আলম, রাহী হাসান চৌধুরী প্রমুখ।

গবেষণা টিমের সদস্য ও চবি’র জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা এই বিষয়ে বলেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ সময় নতুন করে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের ভারতীয় প্রকরণটি শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। এখনই সতর্ক না হলে সংক্রমণ কমানোর বিষয়টি অনিশ্চয়তার দিকে চলে যেতে পারে।’
গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল্‌?-ফোরকান এই বিষয়ে মানবজমিনকে বলেন, আমাদের বর্তমান গবেষণায় চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের চারটি প্রকরণের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিভিন্ন দেশ হতে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভারতীয় প্রকরণের সংক্রমণ ক্ষমতা অত্যধিক এবং অতিসত্বর বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনাপূর্বক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই প্রকরণটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, যার পরিণতি ভারতের মতো ভয়াবহ হতে পারে।’
এদিকে বন্দরনগরীতে হু হু করে করোনার সংক্রমণ হার বেড়েই চলেছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এখানে নতুন করে ২২৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে আরও ৩ জনের। এই নিয়ে বন্দরনগরীতে করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৫ হাজার ৩২ জন। আর এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৪৫ জন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর