× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১১ মে ২০২৪, শনিবার , ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

‘চীনের আধিপত্যের উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমা ছাড়িয়ে গেছে’

দেশ বিদেশ

অনলাইন ডেস্ক
১৫ জুন ২০২১, মঙ্গলবার

সম্প্রতি চীনের নৌবাহিনীর একটি ইউনিট প্রশান্ত মহাসাগরে প্রশিক্ষণ মহড়া চালিয়েছে। এ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, চীনের আধিপত্য বিস্তারের উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পিপলস লিবারেশন আর্মির দক্ষিণ থিয়েটার কমান্ড গত শনিবার জানায়, চীনের একটি নৌবহর গত মাসে ৬ হাজার ৭০০ নটিক্যাল মাইল পাড়ি দিয়েছে। নৌবহরটি প্রশান্ত মহাসাগর দিয়ে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন অতিক্রম করে চলে যায়।

চীনা কমান্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানায়, ‘জটিল এই সামরিক অবস্থান দ্বারা চীনা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈন্যদের ইচ্ছা ও অধ্যাবসায়কে বোঝা যায়। দূর সাগরে অস্ত্রের ব্যবহার কেবল সমুদ্র অভিযানে চীনা বাহিনীর সরঞ্জামাদির কার্যক্ষমতাই নির্ণয় করে না, এর ফলে বাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈন্যদের নির্দেশ ও একসঙ্গে কাজ করার সক্ষমতাও নির্ণয় করে।’ চীনা বাহিনীর এই তৎপরতা বোঝায়, তাদের অভিযানের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করতে তারা আবারও উঠেপড়ে লেগেছে, যা গত কয়েক বছর ধরেই তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর দক্ষিণ থিয়েটার কমান্ডের অধীনে প্রশান্ত মহাসগারে একটি চীনা নৌবহর ৪১ দিনের অনুশীলন সম্পন্ন করে। তারা ১৪ হাজার নটিক্যাল মাইল ভ্রমণ করে এবং যুদ্ধ ও উদ্ধার অভিযান চালায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সমুদ্রে চীনের যুদ্ধক্ষমতা আরও উন্নত করতে পিএলএ নিকট সাগর ছেড়ে আরও দূর সাগরে বিচরণের পথ খুঁজবে। অত্যাধিক অভিযান অনুশীলন বোঝায় চীনা নৌবাহিনী আরও দূরবর্তী অঞ্চলে অভিযান চালাতে সক্ষম।’

গত কয়েক মাস ধরে দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে চীন-মার্কিন উত্তেজনার মধ্যে সমুদ্রে তৎপরতা বাড়িয়েছে চীন। চীনের এই তৎপরতার ফলে একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় এবং দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ পরিচালনা করতে যুক্তরাষ্ট্রকে উস্কানি যোগায়। এই অঞ্চলে মার্কিন তৎপরতাকে সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এবং সংঘাত বৃদ্ধির ঝুঁকি হিসেবে দাবি করে চীন। টোকিও দাবি করে, বিতর্কিত সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জে ১১২ বার আক্রমণ চালিয়েছে চীন। দ্বীপ সংলগ্ন জলরাশিতে চীন তার জাহাজ পাঠিয়েছে।

এদিকে, চীন একটি নতুন আইন করেছে যেখানে ভিনদেশি কোনো জাহাজ চীনের জলরাশিতে প্রবেশ করলে দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সূত্র: দ্য সিঙ্গাপুর পোস্ট
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর