বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিয়ের ১ মাসের মাথায় নববধূ সাথী বিশ্বাস (১৯)কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর পরকীয়ার দৃশ্য দেখে ফেলায় স্বামী ও তার প্রেমিকা মিলে এই হত্যা করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছে নিহত সাথী বিশ্বাসের মা ও বোন। গতকাল বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিচার চেয়ে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত সাথীর মা কানন বিশ্বাস বলেন, ‘আমার মেয়েকে প্রায় ৪ মাস আগে চরবানিয়ারী ইউনিয়নের অশোকনগর গ্রামের মৃত সুভাষ মণ্ডলের ছেলে সুশেন কুমার মণ্ডল (২৫)এর সঙ্গে বিয়ে হয়। পরে জানতে পারি, সুশেনের মাসতুতো ভাই শ্যামল মণ্ডলের স্ত্রী কনিকা মণ্ডল (৩৫)এর সঙ্গে সুশেনের পরকীয়া প্রেম আছে। বিয়ের পরেও কনিকা প্রায়ই সুশেনের বাড়িতে যাতায়াত এবং সুশেনের সঙ্গে দৃষ্টিকটুভাবে মেলামেশা করত। এর প্রতিবাদ করে সাথী বিশ্বাস। ফলে সুশেন সাথীকে প্রায়দিন গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতন করতো। গত ১৮ই এপ্রিল ভোরে কনিকা সুশেনের বাড়ি আসে।
সুশেন ও কনিকা অবৈধভাবে মেলামেশা করতে গেলে সাথী বাধা দেয়। ঝগড়াঝাটি শুরু হয়। ঝগড়া করতে করতে সাথী ঘর থেকে উঠোনে আসে। এক পর্যায়ে সুশেন ও কনিকা মিলে সাথীর পরনের কাপড় দিয়ে সাথীর গলায় পেঁচিয়ে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর সাথীর লাশ তারা ঘরের বারান্দার আড়ায় ঝুলিয়ে রাখে। পরে সুশেন ও কনিকা পালিয়ে যাবার সময় গ্রামবাসী তাদের ধরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সুশেন ও কনিকাকে জেলহাজতে পাঠায়। কিন্তু পরে জানতে পারি থানায় আত্মহত্যার মামলা হয়েছে। সুশেন মণ্ডল ও কনিকা মণ্ডল জামিনে এসে আমাদের নানা হুমকি দিচ্ছে। আমরা সাথী হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’ কানন বিশ্বাসের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাথীর বোন শুক্লা পোদ্দার।