রবার্তো মানচিনির অধীনে রীতিমতো উড়ছে ইতালি। টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত আজ্জুরিরা। ইউরোর উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্কের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া জয় তুলে নিয়েছে তারা। ৩-০ ব্যবধানের জয়টি ইউরোর ইতিহাসে উদ্বোধনী ম্যাচের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। গত বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া ইতালি বড় মঞ্চে ফিরেছে দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়ে। ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইতালির প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে সুইসরা ১-১ ব্যবধানে ড্র করে ওয়েলসের সঙ্গে। পয়েন্ট হারিয়ে সুইজারল্যান্ড ঘুরে দাঁড়াতে চায় ইতালির বিপক্ষে।
ওয়েলসের বিপক্ষে লিড নিয়েও পয়েন্ট খোয়ায় সুইসরা।
দলটির কোচ ভ্লাদিমির পেটকোভিচ ইতালিকে একরকম হুমকি দিয়ে বললেন, ‘(ওয়েলস ম্যাচে) নিজেদের সেরাটা দেখাতে পারিনি। ইতালির বিপক্ষে ভিন্ন সুইজারল্যান্ডকে দেখা যাবে।’ তুরস্কের ম্যাচের মতো জয় পাওয়া সহজ হবে না ইতালির। মাঝমাঠে লিভারপুল তারকা জাদরান শাকিরির সঙ্গে রয়েছেন আতালান্তার রেমো ফ্রিউলার। আক্রমণে সুইসদের ভরসা মনশেনগ্লাডবাখের ব্রেল এমবোলো। ইতালির সুইস পরীক্ষা তাই সহজ হবে না।
ইতালি জিতেছে তাদের শেষ নয় ম্যাচের সবকটিতেই। হজম করেনি কোনো গোল। এর আগে তারা টানা দশ জয়ের রেকর্ড গড়েছে একবারই। সেই মাইলফলক আরো একবার ছুঁতে চাইবে ইতালি। এখনো ইনজুরি কাটিয়ে ফেরেননি মার্কো ভেরত্তি ও আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি। শেষ নয় ম্যাচে ২৮ গোল করা ইতালির বড় ভরসার নাম আক্রমণভাগের দুই তারকা চিরো ইম্মোবিলে ও লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। তবে ইতালিয়ানদের শক্তির জায়গা মাঝমাঠ। ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত জর্জিনহোর সঙ্গে রয়েছেন মানুয়েল লোসেতেল্লি ও নিকোলো বারেল্লা। ইতালি চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কিন্তু ইউরোপসেরা হয়েছে মাত্র একবার। সেটা ১৯৬৮ সালে। ৫২ বছরের খরা ঘোচাতে মরিয়া ইতালি। আসরের অন্যতম ফেভারিটও তারা। তুরস্কের ম্যাচের মতো দাপুটে ফুটবল সুইসদের বিপক্ষেও খেলতে চায় ইতালিয়ানরা। সেটাই মনে করিয়ে দিলেন কোচ রবার্তো মানচিনি। তিনি বলেন, ‘তুরস্কের বিপক্ষে আমরা ভালো শুরু পেয়েছি। এখনো অনেক পথ বাকি। তুরস্কের ম্যাচের মতো আসরের সব ম্যাচই এভাবে খেলতে চায় ইতালি।’
৫৮তম লড়াইয়ে রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ইতালি-সুইজারল্যান্ড। আগের ৫৭ ম্যাচে ২৮ জয় ইতালির। সুইজারল্যান্ড জিতেছে মাত্র সাত ম্যাচে। দু’দল শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল এগারো বছর আগে। ২০১০ সালের সেই লড়াই শেষ হয় ১-১ সমতায়।