পুরো ম্যাচে দাপুটে ফুটবল। গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তাতে সফল না হওয়ার হতাশা। লিড নিয়ে সেটা ধরে রাখতে না পেরে জয় না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়া। গত তিন ম্যাচে একই ধারা বজায় রেখেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মেসির পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গিয়েও চিলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র। পরের ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষে দুই গোলের লিড নিয়েও সেটা ধরে রাখতে পারেনি লিওনেল স্কালোনির দল। মঙ্গলবার ভোরে কোপা আমেরিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচেও একই চিত্র। ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে চিলির বিপক্ষে লিওনেল মেসি এগিয়ে দিলেও সেটা ধরে রাখা যায়নি। একাধিক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারার ব্যর্থতা সঙ্গী হয়েছে ১-১ গোলে ড্র করে। ফ্রিকিক থেকে দারুণ এক গোল করেন মেসি। আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা জাতীয় দলের জার্সিতে ৭৩তম গোলে ঘটিয়েছেন অপেক্ষার অবসান। ৫৪ মাস পর আর্জেন্টিনার জার্সিতে ফ্রিকিকে গোল পেলেন মেসি। ২০১৬ সালের নভেম্বরে কলম্বিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফ্রিকিক থেকে ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা
অধিনায়ক। মেসি চিলির বিপক্ষে গোলমুখে শট নিয়েছেন ৭টি। যা ম্যাচের সর্বোচ্চ। ৬টি শট নিয়েও গোলের দেখা পাননি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড নিকোলাস গঞ্জালেস। সব মিলিয়ে ১৮টি শট নিয়ে মাত্র একটি গোল আদায় করতে পারে আর্জেন্টিনা। স্কালোনির অধীনে প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করেছে আলবিসেলেস্তেরা। টানা তিন ম্যাচে গোল মিসের মহড়া ভাবিয়ে তুলছে আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনিকে। শিষ্যদের দেখিয়ে দিয়েছেন সফলতার পথও। তিনি বলেন, ‘সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারা আমাকে ভাবনায় ফেলছে। আক্রমণভাগের প্রায় সবাই একসঙ্গে ব্যর্থ। গোলের কাছে গিয়ে আমাদের শান্ত থাকতে হবে।’ নিজেদের পরের ম্যাচে আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ছয়টায় উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা। সেদিনই বলিভিয়ার মুখোমুখি হবে চিলি। ‘এ’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে বলিভিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে প্যারাগুয়ে। কোপা আমেরিকায় গ্রুপ পর্বে এখনও পর্যন্ত হয়েছে চার ম্যাচ। তাতে গোল হয়েছে ১০টি। যার ৬টিই এসেছে ‘সেটপিস পরিস্থিতিতে’। অর্থাৎ বেশিরভাগ গোলই হয়েছে পেনাল্টি ও ফ্রিকিক থেকে।