× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুর্নীতির সুপার মডেল

দেশ বিদেশ

সংসদ রিপোর্টার
১৬ জুন ২০২১, বুধবার

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে ‘দুর্নীতির সুপার মডেল’ আখ্যা দিয়ে সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে মিঠু, আফজাল, আজাদ, রাজ্জাক, জাহের, সাজ্জাদ, হুমায়ুন, মামুন, সাত্তার, সাহেদ, মালেক দুর্নীতির মডেল। আর আপনি (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) হলেন দুর্নীতির সুপার মডেল। গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জি এম সিরাজ বলেন, সরকারের প্রায় সব মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান সরকার সংশ্লিষ্ট বিশেষ সুবিধাভোগীরা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কোনো জবাবদিহি নেই। অন্যায় ও অপরাধের বিচার নেই। দুর্নীতি বন্ধ বা সহনীয় পর্যায়ে আনতে না পারলে বাজেট থেকে কোনো উপকার আসবে না। কিছু মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিবিশেষের কারণে প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স মুখ থুবড়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, মাথা ঠিক থাকলে শরীর ঠিক থাকে। মাননীয় সংসদ নেতা, আপনি আপনার জিরো টলারেন্সের একটি নমুনা দয়া করে দেখান। বিশেষজ্ঞ, টেকনোক্র্যাট বসিয়ে দুর্নীতিমুক্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করুন।

জঙ্গি-দুর্নীতি-করোনাকে ধ্বংস করে এগিয়ে যেতে হবে: হাসানুল হক ইনু
জঙ্গি-দুর্নীতি-করোনাকে ভাইরাস আখ্যায়িত করে এই তিন ভাইরাসকে ধ্বংস করে সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসনুল হক ইনু। তিনি বলেন, জামায়াত-হেফাজত, দুর্নীতি ও করোনা পুষে রেখে জীবন জীবিকা বাঁচবে না। তাই তাদের কোনো ছাড় না দিয়ে ধ্বংস করতে হবে। গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। বলেন, জামায়াত-হেফাজত তেঁতুল হুজুররা আসলে কোনো আলেম নয়। পুরনো স্বভাব না বদলে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি। তারা এখনো জঙ্গি-সন্ত্রাসী তেঁতুল হুজুরদের রক্ষা করার জন্য বক্তব্য বিবৃতি দিয়েই চলছে। সাবেক মন্ত্রী ইনু বলেন, স্বাস্থ্যসহ অন্য খাতগুলোর কেনাকাটায় কী ঘটেছে তা সবাই জানে। স্বাস্থ্য খাতে সুশাসনের কোনো বালাই নেই। এ খাতে কেবল দুর্নীতির খবর। তাদের বরাদ্দ অপ্রতুল। প্রাপ্ত বরাদ্দও খরচ করতে পারে না। যেটুকু খরচ করেছে তাতে দুর্নীতির বদনাম কামিয়েছে। এ কারণে দেশে যথাসময়ে অক্সিজেন প্ল্যান্ট হয়নি। করোনা সামগ্রী কেনা হয়। ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো হয়নি। এগুলো চিহ্নিত করে প্রতিকারের ব্যবস্থা বাজেটে থাকা উচিত ছিল। সমপ্রতি দুর্নীতির একটি ভয়ঙ্কর খবর জানা গেছে উল্লেখ করে জাসদ সভাপতি বলেন, এক হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা দিয়ে রাডার কেনার সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সেই রাডার কেনা হয়েছে মাত্র ৬৩০ কোটি টাকায়। কারা এই টাকা লুটপাট করে খাওয়ার আয়োজন করেছিল? হাতের পর হাত, ঘাটের পর ঘাট ঘুরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার পর চুরির ঘটনা ধরা পড়লো। বাজেটে বরাদ্দ তাই যথেষ্ট নয়। বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়, প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতিবাজ-লুটেরা সিন্ডিকেটের আধিপত্য বিদ্যমান। তিনি বলেন, সরকারের সামগ্রিক কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের সিন্ডিকেট ধ্বংস করতে হবে। অর্থপাচার বন্ধ করতে হবে। তারেক-কোকোর পাচারকৃত অর্থের মতো বেগমপল্লীর সেকেন্ড হোমের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে হবে। যে চোরেরা সরকারকে কালিমালিপ্ত করছে তাদের বিদায় করতে হবে। হাসানুল হক ইনু বলেন, এখন জাতির এক নম্বর অগ্রাধিকার হওয়া উচিত টিকা সংগ্রহ। টিকা নিয়ে সমন্বয়হীনতা ও তুঘলকি কাণ্ড বন্ধ করতে হবে। দেশে টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক বছরের মধ্যে সবাইকে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনাভাইরাসকে পরাজিত করতে হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খাতে মৌলিক অধিকার হিসেবে গ্রহণ করে এসব খাতে কাঠামোগত পরিবর্তনে পদক্ষেপ নেয়ার দরকার ছিল। আমরা চাইলে সেটা এবারই পারতাম। সুযোগ ছিল করোনা মোকাবিলার যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কৌশলগত সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা সুস্পষ্ট করার। কিন্তু তা করা হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর