× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাটহাজারীতে রোহিঙ্গাকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ায় চেয়ারম্যানসহ বহিষ্কার ১১

দেশ বিদেশ

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
১৬ জুন ২০২১, বুধবার

অসৎ উপায়ে রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্মনিবন্ধন সনদ ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন দুদক। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন এ মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলো- উপজেলার নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. সাইফুদ্দিন চৌধুরী, ডবলমুরিং নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক নূর আহমদ, কেরানীগঞ্জ নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্য-সুন্দর দে, মির্জাপুর ইউপি’র ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. নুরুল ইসলাম, মির্জাপুর ইউপির জন্ম সনদ প্রস্তুতকারী মোহাম্মদ বেলাল, দালাল মো. আব্দুল ছালাম ও তার পিতা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, রোহিঙ্গা লাকী আক্তার এবং নাজির আহমেদ। দুদক সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা নাগরিক লাকী আক্তারকে (তার প্রকৃত নাম রমজান বিবি) ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে সরাসরি জড়িত ছিলেন নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন। জয়নাল নিজ বাসায় বসে নির্বাচন কমিশনের ল্যাপটপ ব্যবহার করে ডাটা এন্ট্রি করেন। যাতে হাটহাজারী উপজেলার নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. সাইফুউদ্দিন চৌধুরী সহায়তা করেন। পরবর্তীতে রোহিঙ্গা লাকী ও তার দুই মেয়েকে পাসপোর্ট করতে অসৎ উদ্দেশ্যে জাতীয় সনদপত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিনের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল ইসলাম, জন্ম সনদ প্রস্তুতকারী বেলাল উদ্দিন, ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, দালাল আজিজুর রহমান ও তার পিতা আব্দুস ছালাম।
তারা মূলত অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের যোগসাজশে রোহিঙ্গা নাগরিককে এনআইডি প্রদানে সহযোগিতা করেন। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. সাইফুউদ্দিন চৌধুরী ১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অন্য জায়গায় বদলি হয়ে যায়। আমার জানামতে তিনি সেখানেও যোগদান করেনি। দুই বছর আগে রোহিঙ্গা নাগরিক লাকী আক্তারের বিরুদ্ধে আমি নিজেও একটি মামলা করেছি। ওই সময় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন অফিসের বেশকিছু কর্মচারীকে বদলি করানো হয়েছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর