× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঝুলে আছে র‌্যাবে ৪৭ এসপি’র পদায়ন

শেষের পাতা

আল-আমিন
১৬ জুন ২০২১, বুধবার

পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী র‌্যাবে জটিলতা না কাটায় এখনো ঝুলে আছে ৪৭ এসপি’র পদায়ন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে একাধিকবার পুলিশ ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসেও এর কোনো সমাধান টানতে পারেননি। বরং কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও জটিল প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ২০০৪ সালে যাত্রা শুরুর এই প্রথম প্রথা ভেঙে র‌্যাবের উপ-পরিচালক পদে ৪৭ পুলিশ সুপার (এসপি)কে র‌্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন ও উইংয়ে বদলি করা হয়েছে। নতুন করে এত সংখ্যক পুলিশ সুপারের পদায়নে বাহিনীর ভেতরের ভারসাম্য কীভাবে রক্ষা করা হবে তা নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন যে, র‌্যাবে পুলিশের জন্য বিভাজন করা কোটার বিপরীতেই ৪৭ এসপিকে বদলি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে জানা গেছে, র‌্যাবে কোটা বিভাজন অনুযায়ী
পুলিশের জন্য উপ-পরিচালক পদমর্যাদার ৯টি শূন্য পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ৪৭ জন এসপিকে বদলি করা হয়েছে।
এ কারণে এসব কর্মকর্তার পদায়নে সৃষ্টি হয়েছে নানা জটিলতা। গত ১৬ই মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের বদলির আদেশ জারি হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গতকাল মানবজমিনকে জানান, ‘র‌্যাবে যারা বদলি হয়ে আসেন তাদের ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিং হওয়ার পর বাহিনীর দায়িত্ব পালন করেন’।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে র‌্যাব গঠনের পর একই বছরের ১৯শে আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখা-৩ থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। এতে র‌্যাবের জন্য মঞ্জুরিকৃত ৫ হাজার ৫২১টি পদে বিভিন্ন বিভাগ, বাহিনী ও সংস্থা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রেষণে নিয়োগের জন্য কোটা পুনঃনির্ধারণ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (এএফডি) থেকে ৪৪ শতাংশ, পুলিশ থেকে ৪৪ শতাংশ, বিজিবি থেকে ৬ শতাংশ, আনসার ও ভিডিপি থেকে ৪ শতাংশ, কোস্টগার্ড থেকে ১ শতাংশ ও সিভিল প্রশাসন থেকে ১ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে এএফডি থেকেই সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের বেশি পদায়ন করা হয় র‌্যাবে।
সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে জনবলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদ নির্ধারণ করার পর দেখা যায়, তখন বেশকিছু পদে পুলিশের কোনো জনবল ছিল না। বোম্ব ডিসপোজাল, বাবুর্চি ও ল্যাব এসিস্ট্যান্ট পদগুলোর বিপরীতে পুলিশের জনবল তখন পাওয়া যায়নি। পুলিশে এসব পদে জনবল না থাকায় ২০০৫ সালের ২১শে জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশ শাখা-৩ থেকে র‌্যাবে জনবল বিভাজন প্রসঙ্গে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, র‌্যাবের কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে র‌্যাবের সাংগঠনিক কাঠামোতে বর্তমান ৭টি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত আরও তিনটি ব্যাটালিয়ন, সদর দপ্তরে বিদ্যমান ৬টি উইংয়ের অতিরিক্ত ২টি উইং, একটি সেল এবং একটি ট্রেনিং স্কুল অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।
সূত্র জানায়, ৩টি নতুন ব্যাটালিয়ন সংযোজনের জন্য বিভিন্ন পদবির সর্বমোট ২ হাজার ৮২৩টি পদ সৃজন করা হচ্ছে। এ নিয়ে তখন র‌্যাবে মোট জনবল দাঁড়ায় ৮ হাজার ৭৫৯টি। এতে এএফডি’র জন্য ৩ হাজার ৭৯৭টি এবং পুলিশের জন্য ২ হাজার ৮২৭টি পদ বিভাজন করা হয়। ৫টি ব্যাটালিয়ন নিয়ে যাত্রা শুরু করা র‌্যাবে এখন ব্যাটালিয়ন সংখ্যা ১৫টি। ৫ হাজার ৫২১টি পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭৮০টিতে।
সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে এএফডি থেকে আরও ১৪ জন উপ-পরিচালক পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তাকে র‌্যাবে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। আগে থেকেই এএফডির ৬৫ জন উপ-পরিচালক র‌্যাবে কর্মরত রয়েছেন। সব মিলিয়ে র‌্যাবে এখন উপ-পরিচালকের সংখ্যা ৭৯ জন। বর্তমান অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী র‌্যাবে উপ-পরিচালক পদমর্যাদার ৯৮টি পদ রয়েছে বলে র‌্যাবের দাবি। এ ছাড়া উপ-পরিচালক পদে আনসারের ১টি এবং সিভিল প্রশাসনের ১টি করে পদ রয়েছে।
সূত্র জানায়, বদলি আদেশ হওয়ার পর থেকেই পুলিশ সদর দপ্তর ও র‌্যাব সদর দপ্তরে কর্মকর্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। কারণ কোনো বাহিনীতে নির্দিষ্ট কোটা থাকলে এর বেশি কর্মকর্তা অন্য বাহিনী থেকে বদলি হলে তাদের পদায়নে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। এই ৪৭ জন এসপিকে নিয়ে র‌্যাবে তাদের পদায়ন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর