ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরে বাদ পড়েছিল জার্মানি। প্রতিশোধ নেয়ার সুুযোগ আসে চলতি আসরের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই। গোটা ম্যাচ জুড়েও চলে জার্মানদের দাপট। তবে শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের করা ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে স্বাগতিকদের। ম্যাটস হামেলসের আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে ফ্রান্স।
মঙ্গলবার রাতে মিউনিখের অ্যালেঞ্জ এরেনায় গোটা ম্যাচে বল দখলে আধিপত্য দেখায় জার্মানি। ৬২ শতাংশ বল দখলে রেখে ১০টি শট নেয় স্বাগতিকরা, যার লক্ষ্যে ছিল ১টি। অপরদিকে ৩৮ শতাংশ বল দখলে রাখে ফ্রান্স। ৪টি শটের ১টি লক্ষ্যে গত আসরের রানারআপরা।
প্রথমার্ধের খেলায় এদিন দুই দলেরই যথেষ্ট গতি ছিল, চলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণও।
তবে ২০তম মিনিটে চরম ভুলটি করে বসেন হামেলস। পল পগবার দারুণ ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে গোলমুখে কিলিয়ান এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান লুকা হার্নান্দেজ। বিপদমুক্ত করতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল পাঠানোর চেষ্টা করেন ডিফেন্ডার হামেলস; কিন্তু বল চলে যায় জালে।
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে দারুণ একটি মৌসুম কাটিয়ে আসা ইলকাই গিনদোয়ান ৩৭তম মিনিটে সমতা টানার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সের্গে জিনাব্রির পাস দারুণ পজিশনে পেয়ে ১২ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন এই মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই দলই সুযোগ নষ্ট করে। ৫১তম মিনিটে আদ্রিওঁ রাবিওর শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে। দুই মিনিট পর জিনাব্রির জোরালো শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে যায়।
এমবাপ্পে ৬৬তম মিনিটে বাঁকানো শটে জালে বল পাঠিয়েছিলেন; কিন্তু বল রিসিভ করার মুহূর্তে অফসাইডে ছিলেন তিনি। শেষ দিকে করিম বেনজেমাও লক্ষ্যভেদ করেন, তবে ভিএআরে সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
নিজেদের পরের ম্যাচে আগামী শনিবার হাঙ্গেরির বিপক্ষে খেলবে ফ্রান্স। একই দিনে পর্তুগালের মুখোমুখি হবে জার্মানি।