শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের আয়ের অন্যতম মাধ্যম হলো স্টেজ শো। সেই স্টেজই এখন বন্ধ। বাকি সব কিছুই কিন্তু চলছে। সিনেমা-নাটকের শুটিং হচ্ছে, কাজ হচ্ছে। কিন্তু শুধুমাত্র স্টেজ শো পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। করোনায় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা। কারণ তাদের আয় বন্ধ। আমি না হয় চলে যাচ্ছি আল্লাহুর রহমতে।
সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু যারা কেবলই স্টেজের ওপর নির্ভর তাদের অবস্থা সব থেকে খারাপ। করোনা পরিস্থিতিতে সংগীত সংশ্লিষ্টদের অবস্থা প্রসঙ্গে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ফোক গানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাসরিন আক্তার বিউটি। তিনি আরো বলেন, করোনা কবে যাবে অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে অনেক মিউজিশিয়ানই গ্রামে চলে গেছেন। অনেকে পেশা বদলেছেন। আমরা শিল্পীরা মিউজিশিয়ানদের সঙ্গেই কাজ করি। সংগীতের মানুষদের বেহাল অবস্থার কথা শুনলে খুব খারাপ লাগে। কারণ সব সময় তো সহযোগীতাও করা যায় না। স্টেজ শোর কথা তো হলো। রেকর্ডিং কি করা হচ্ছে? বিউটি উত্তরে বলেন, বেশ কয়েকটি নতুন গান করলাম। এরমধ্যে প্রথমবার মুহিন ভাইয়ের সুরে ও জামাল হোসেনের কথায় রঙ্গন মিউজিকের জন্য করেছি একটি আধুনিক গান। এর আগে সিনেমায় আধুনিক গান গাইলেও অডিওতে এই প্রথম করলাম। এছাড়াও শেখ নজরুলের কথায় ও রোজায়ানের সুর ও সংগীতে ফোক গান করেছি। রোহান রাজের সুর-সংগীতেও একটি গান করেছি। তার ভিডিও ধারণের কাজও শেষ। দ্রুতই প্রকাশ হবে। তাহলেতো ব্যস্ততা ভালোই চলছে। নাকি? বিউটি বলেন, আসলে রেকর্ডিংই করছি বেশি। টিভি অনুষ্ঠান করেছি কিছু ঈদের। বেতারের রেকর্ডিংও করছি। চ্যানেল গুলোর লাইভের অনেক প্রস্তাব আসে। কিন্তু সেগুলো ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ আমার বড় ছেলে বয়স পাঁচ বছর আর ছোটটার সাড়ে সাত মাস। লাইভ দীর্ঘ সময় করতে হয়। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি খারাপও হচ্ছে। সন্তানদের কথা চিন্তা করে লাইভ করার সাহস পাচ্ছি না। আরেকটু সময় নিতে চাই।