× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সমন্বিত দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সমন্বিত দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ (এনসিসি’বি)।  সংগঠনের পক্ষ থেকে জলবায়ু বাজেটে পরিচালনা ব্যয় কমিয়ে উন্নয়ন খাতে ব্যয় বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। বিশেষ করে দূর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে জলবায়ু বাজেট ২০২১-২২ বিষয়ে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা ও ভাবনা তুলে ধরতে ‘জীবন ও জীবিকার অগ্রাধিকার ঃ ন্যায্যতা ও সুশাসন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন এনসিসিবি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক (রিসার্চ এন্ড এ্যাডভোকেসি) ড. মুহাম্মদ ফররুখ রহমান। বক্তৃতা করেন ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিষ্ট ফোরামের (বিসিসিজেএফ) সভাপতি কাওসার রহমান, সুন্দরবন ও উপকুল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, সেভ দ্যা চিলড্রেনের সিনিয়র অফিসার (জলবায়ু পরিবর্তন) মোজাম্মেল হক, এনসিসি’বির রিসার্চ এন্ড এ্যাডভোকেসি এ্যাসোসিয়েট প্রতীতি কামাল প্রমূখ।

সূচনা বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ফররুখ রহমান বলেন, করোনা মহামারির প্রার্দুভাবে জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবেলা জটিলতর হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সক্রিয় জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে নাগরিক সমাজের সূদৃঢ় অবস্থান থাকা স্বত্ত্বেও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে না। এমনকি জলবায়ু কার্যক্রমে তাদের কার্যকরি অংশগ্রহণের বিষয়গুলি এখনো অমীমাংশিত রয়েছে।

সরকারকে এ বিষয়ে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে।

বিসিসিজেএফ সভাপতি কাওসার রহমান বলেন, পরিবেশ দিবসের সময় বর্তমান বাজেট উপস্থাপিত হলেও পরিবেশ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তা খুবই হতাশাজনক। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বাজেটের অর্থ বিগত বছরগুলো থেকে তুলনামূলক কমেছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বাজেট খরচের কর্মদক্ষতাও অনেক কমেছে। কর্মদক্ষতা বাড়াতে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

উন্নয়ন কর্মী মোজাম্মেল হক ঘোষিত বাজেটে বিপন্ন জনগোষ্ঠী বিশেষত শিশু, নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় শিশু, নারী, তরুন জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্তা বৃদ্ধি করতে হবে। অনুসরণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলেই উপকূলীয় অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই অবহেলিত উপকূলীয় অঞ্চল নিয়ে দ্রুত কাজ না করা হলে সরকারের এই শত শত উন্নয়ন সাগরে পানিতে ডুবে যাবে। এতে বাংলাদেশের অর্থ সামাজিক ক্ষতির সাথে জনজীবন বিপর্যস্ত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত সুপারিশে বলা হয়, প্রতিবছর জিডিপি’র কমপক্ষে এক শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বরাদ্দ করতে হবে। জলবায়ু বাজেটের পরিচালন ব্যয় কমিয়ে উন্নয়ন খাতে প্রতিবছর কমপক্ষে ১০ শতাংশ ব্যয় বাড়াতে হবে। জলবায়ু অর্থায়নকে একটি তহবিল থেকে পরিচালনার লক্ষ্যে এবং জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বেসরকারি ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি জলবায়ু কমিশন গঠন করতে হবে। এছাড়া জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি চালু করতে হবে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর