অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজারের ভ্যাকসিন কোভিড মোকাবিলায় ৮৪ শতাংশ কার্যকরী। ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে চালানো এক গবেষণায় এমন ফল পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। বৃহসপতিবার গবেষণার তথ্য প্রকাশ করে কোরিয়া ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সি বা কেডিসিএ। এতে বলা হয়, গবেষণার জন্য ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ভ্যাকসিন নেয়া প্রায় ৯৬ লাখ মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ লাখেরও বেশি মাত্র এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ফলাফলে দেখা গেছে, যেখানে ভ্যাকসিন না নেয়াদের মধ্যে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ৪ হাজার ৮৯২। সেখানে ভ্যাকসিন গ্রহণ করাদের মধ্যে এ সংখ্যা মাত্র ২৮২। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিডের বিরুদ্ধে ৭৮.৯ শতাংশ কার্যকর। এক ডোজ দেয়ার দুই সপ্তাহের মাথায়ই এই কার্যকারিতা পাওয়া যায়।
তবে ফাইজারের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ছিল ৮৬.৬ শতাংশ। বয়স বিবেচনায় দেখা গেছে ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের মধ্যেই সর্বোচ্চ কার্যকারিতা দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার হার ৮৬.৭ শতাংশ। অপরদিকে ৮০ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে এ হার ৮৪.৯ শতাংশ। তবে ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে কার্যকারিতার হার ছিল মাত্র ৭৩.৯ শতাংশ।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজারের ভ্যাকসিন কোভিডে মৃত্যু থামাতে শতভাগ কার্যকরী বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভ্যাকসিন গ্রহণ না করাদের মধ্যে যেখানে ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে ভ্যাকসিন গ্রহণ করাদের মধ্যে কোনো মৃত্যু রেকর্ড করা হয়নি।