× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্যাতনের শিকার হয়ে ঘরছাড়া হাসান আরিফের পুত্রবধূ

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) জুন ১৮, ২০২১, শুক্রবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক এটর্নি জেনারেল  এ.এফ. হাসান আরিফের পুত্রবধূ মাধবী আক্তার নীলা। এমন অভিযোগ করে বুধবার শিশু সন্তানকে নিয়ে হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেছেন তিনি। আবেদনে সন্তানের অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার মামলাটি হয়েছে। প্রাথমিক খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রমাণ সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়,(১) আমার স্বামী মুয়াজ আরিফ পিতা হাসান আরিফ,  (২) হাসান আরিফ অজ্ঞাত (৩) পারভিন আরিফ স্বামী হাসান আরিফ (৪) উম্মেহানি পিতা হাসান আরিফ বিবাহের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় জেল খাটিয়েছে। আমার দুই বছরের কন্যা সন্তানকে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। আমার ৮ দিন বয়সের দ্বিতীয় কন্যা সন্তান নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
ইতিপূর্বে আমার পেটে লাথি মেরে তিন মাসের একটি বাচ্চা মেরে ফেলেছে। আমাকে ডিএমসি করতে হয়েছে। আমাকে নির্যাতন করে চুল কেটে দিয়েছে। আমার গাড়িসহ সমস্ত কিছু আটকে রেখেছে। আমার সিম মোবাইল ফোন ও ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে এবং আমি এবং ও আমার দ্বিতীয় কন্যা সন্তানকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। মাধবী আক্তার নীলা গণমাধ্যমকে বলেন, বিয়ের পর জানতে পারি মুয়াজ অ্যালকোহল গ্রহণ করে। বিভিন্ন নারীর সাথে মেলামেশা করে। আমি হাতেনাতে ধরেছি এমন কয়েকটি ঘটনা। এসব ঘটনা আমার শ্বশুরকে জানাই। খালা শাশুড়িকে জানাই। তাদেরকে বলি আমি মুয়াজের সংসার করতে চাই না। তখন তারা আমাকে বুঝানÑ তুমি একজন ভালো মেয়ে, সাংসারিক মেয়ে। আমার ছেলেটার একটু সমস্যা হচ্ছে। ও রিহাভ  থেকে বের হোক, এরপর তুমি সিদ্ধান্ত নিও। তাদের কথামতো সংসার করতে থাকি। এরপর আমি সন্তান ধারন করি। তারা আমাকে বাচ্চা নষ্ট করতে বলেন। আমি বাচ্চার হার্টবিট শুনতে পাই। আমি তাদের কথায় রাজি হই না।  মুয়াজ আমাকে প্রায়ই মারধর করতো। মারধরের সময় আমার শ্বশুর ছেলেকে বলতো দেখো ফেটে যেন না যায়, কেটে যেন না যায়। একদিন আমাকে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় মিথ্যা মামলা দেয়। আদালত জামিন না দিয়ে আমাকে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।  ৬ই জুন কারাগারে থাকা অবস্থায় তাঁর দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ৭ই জুন জামিনে বের হন, এরপর বাসায় গেলে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে জানান।

 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর