জাতীয় সংসদে ‘আর কোনো দাবি নাই, ত্রাণ চাই না বেড়িবাঁধ চাই’ প্ল্যাকার্ড গালায় ঝুলিয়ে পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা’র বাজেট বক্তব্য প্রদানের ঘটনায় গতকাল ভাঙন কবলিত এলাকা পরির্দশন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। উপজেলা প্রশাসন জানায়, দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজীরহাট, রণগোপালদি ইউনিয়নের আউলিয়াপুর, গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ও বদনাতলি এলাকা পরিদর্শন করেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী।
জানা যায়, দশমিনা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বেড়িবাঁধ বিহীন চরবোরহান ইউনিয়ন, চরশাহজালাল, চরহাদী, চরবাঁশবাড়ীয়া, চরফাতেমা, লালচর ও চরআজমাইনে ৩৮ হাজার মানুষের বসতি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ৭১৪টি পুকুর ও ১০০টি জলাশয়ের মাছ, ৬৪০ মিটার বেড়িবাঁধ, ৪ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন, ৫ কিলোমিটার পাকাসড়ক, ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭টি গভীর নলকূপ, ২৭৮ হেক্টর জমির রবি শস্যর ক্ষয়ক্ষতিসহ চরাঞ্চলে কোটি টাকার ফসলহানি হয়েছে। গত বুধবার জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় ফি-বছর নদীভাঙনে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি বিলীন হলেও ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় সেই দুর্দশার চিত্র উপস্থাপন করেন সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা। এরই প্রেক্ষিতে নৌ-প্রতিমন্ত্রী গতকাল ভাঙ্গন এলাকা এলাকা পরিদর্শনে আসেন। এ সময় ২৩ হাজার জনগণের পক্ষে চরবোরহান ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজির আহম্মেদ সরদার নৌকা-ট্রলার নোঙ্গরে ৫টি জেটি, লঞ্চঘাটে পল্টুন নির্মাণ, ভাঙনরোধে রিভার ক্যানেল ড্রেজিং ও ২৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি করে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এমপি বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- এসএম শাহজাদা এমপি, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, প্রকল্প প্রধান (ড্রেজিং) মো. আব্দুল মতিন, উপজেলা নির্বার্হী অফিসার মো. আল-আমিন, দশমিনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইকবাল মাহামুদ লিটন প্রমুখ।।