লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দু’টি এক্স-রে মেশিন থাকলেও দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে নেই কোনো টেকনিশিয়ান। পূর্বের এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার না হওয়ায় নষ্ট হয়ে পড়ে আছে বহুদিন ধরে। এরইমধ্যে গত ডিসেম্বর মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নতুন আরেকটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু টেকনিশিয়ান না থাকায় সেটিও বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে আছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে আগের মেশিনটির টেকনিশিয়ানকে গাজীপুর পাঠানো হয়। তখন নতুন টেকনিশিয়ান চেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে মহাপরিচালকের কার্যালয়ে চিঠি দেয়া হয়। তাছাড়া জেলা ও উপজেলা সমন্বয় সভায় টেকনিশিয়ান না থাকার বিষয়টি নিয়ে বহুবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে থাকতে ২০০৯ সালে আগের এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হওয়ার পর আর মেরামতও করা হয়নি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আশা রোকেয়া বেগম ও সেলিনা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, আমরা গরিব মানুষ টাকার অভাবে প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে পারি না। এই হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি চালু থাকলে আমরা ৫০-৬০ টাকা খরচ করেই এক্স-রে করার সুযোগ পেতাম। এখন বাইরে প্রাইভেটে এক্স-রে করতে ৩০০-৪০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। রোগীরা বলেন, আগের মেশিনই চলে না, আবার লোক না দিয়ে নতুন মেশিন পাঠানো রোগীদের সঙ্গে তামাশা ছাড়া কিছুই না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, এক্স-রে টেকনিশিয়ান না থাকায় রোগীদের সেবা দেয়া যাচ্ছে না। টেকনিশিয়ানের শূন্য পদটি পূরণের জন্য প্রতিমাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। এরপরও কোনো ফল হচ্ছে না। নতুন এক্স-রে মেশিনটি স্থাপনের জন্যও একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে।