× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঘর তৈরির কারিগর মন্নানের ভাগ্যে জোটেনি ঘর

বাংলারজমিন

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৯ জুন ২০২১, শনিবার

এক সময়ের খ্যাতি অর্জনকারী পাকা দালান তৈরির কারিগর (মিস্ত্রী) আব্দুল মন্নান। অন্যের ঘর তৈরি করে ভালো চলছিল সংসার। তার নিপুণ হাতের কারুকার্য দেখে জনসাধারণ খুবই আকৃষ্ট হতেন। বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতা ও  অভারের তাড়নায় দু’বেলা অন্ন জোগাতে হিমসিম খাচ্ছেন মন্নান। বড় ছেলে নয়ন মিয়া জীবন-জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমিয়েছে ঢাকা শহরে। সংসার থেকে আলাদা হয়ে ছোট ছেলে হারুন মিয়া গ্রামে মাটিকাটার শ্রমিকের কাজ করে কোনোমতে তার সংসার চালাচ্ছে। বার্ধক্য ও অসুস্থতার জন্য বৃদ্ধ মন্নান এখন আর অন্যের ঘর তৈরি করে দিতে পারছেন না। পৈতৃকভাবে প্রাপ্ত দুইশতক ভিটেয় দীর্ঘদিন ধরে একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করছেন তিনি।
বর্তমানে বৃষ্টি ও ঝড়ে ঘরটি ভাঙনের কবলে পড়ায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি এলেই অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয় এই হতভাগা মন্নানের। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব ঢেকিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর মৃধার ছেলে আব্দুল মন্নান মৃধা। বয়স সত্তরের কোটায় পা রাখলেও জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। বিগত সময়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মন্নানের কুঁড়েঘরটির বেহাল দশা দেখে দুই ব্যান্ডেল ঢেউটিন বরাদ্দের আশ্বাস দিলে তাও গুড়ে বালি। হোসেনপুর পৌর কাউন্সিলর মুহাম্মদ মিছবাহ উদ্দিন মানিক জানান, অসহায় আব্দুল মন্নানের কুঁড়েঘরটি খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি। মন্নানের স্ত্রী সুফিয়া জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাগো একটি ঘর উপহার দিতেন তাহলে তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ হতাম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর