পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া জিসিএম হতে আতাইকুলা জিসিএম ভায়া শ্রীকোলা পর্যন্ত ৬১০০ মিটার রাস্তা সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অফিস এবং ঠিকাদার এর যোগসাজশে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ চলছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া জিসিএম হতে আতাইকুলা জিসিএম ভায়া শ্রীকোলা পর্যন্ত ৬১০০ মিটার রাস্তা ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামতের কাজ চলছে। মেরামত কাজে ব্যবহৃত খোয়ার সঙ্গে ময়লা-আবর্জনাসহ কমপক্ষে ২৫ শতাংশ হারে ইটের গুঁড়া (ডাস্ট) রয়েছে। ইটের পিকেট ব্যবহার, সাববেইজ স্তর, স্তরের খোয়া ও বালুর পরিমাণ, বক্স কাটার পরিমাণ, বক্স কেটে রোলারের ব্যবহার সঠিক হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে দুবলিয়া হাজী জসীম উদ্দীন কলেজের উপাধ্যক্ষ ও এলাকার বাসিন্দা মো. নায়েব আলী নান্নু জানান, সরকার উন্নতমানের কাজ হওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করেছে। অথচ রাস্তায় অত্যন্ত নিম্নমানের পিকেট এবং বালু দিয়ে কাজ হচ্ছে। ব্যবহৃত পিকেট হাতের আঙুল দিয়ে টিপ দিলেই গুঁড়া হয়ে যাচ্ছে।
বৃষ্টি হলে বালুর মতো রাস্তার খালে চলে যাবে পিকেট। রাস্তায় খোয়া ও বালুর পরিমাণে নিয়ম মানা হচ্ছে না। এসব কাজ হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন নীতির পরিপন্থি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে ভূমিকা নেয়া প্রয়োজন। এলাকার বাবুল বিশ্বাস বলেন, এই রাস্তাটি একটি ব্যস্ত রাস্তা। এত নিম্নমানের কাজ জীবনেও দেখিনি। বর্তমানে পিকেট এবং বালির কাজ হচ্ছে। পিকেটি খুবই নিম্নমানের, পা রাখলেই গলে যাচ্ছে। বৃষ্টিতে রাস্তার দেয়া খোয়া কাদা হতে দেখা গেছে। এলাকাবাসীর ধারণা কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা আগের মতো হয়ে যাবে। এখনই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। এই কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিভাগীয় এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে পাবনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোকলেসুর রহমান বলেন, আমি রাস্তাটি পরিদর্শন করে সেখানে কিছু সমস্যা পেয়েছি। সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে লিখিত নির্দেশনা দিয়েছি। উল্লেখ, পাবনা জেলা অধিকাংশ এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে রাস্তার উন্নয়ন কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও সিডিউল মোতাবেক কাজ না হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।